শেষ আটদিনে ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০,০০০ জনের বেশি। তার জেরে বিশ্বে সরথেকে করোনা কবলিত দেশের তালিকায় সপ্তম স্থানে উঠে এল ভারত।
গত ২৫ মে ইরানকে ছাপিয়ে ভারত সেই তালিকার প্রথম দশে ঢুকে পড়েছিল। তখন দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১.৩৮ লাখের মতো ছিল। আর ঠিক আটদিন পর ভারতে সংক্রামিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯০,৫৩৫। Worldometers-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বে মোট করোনা আক্রান্তের নিরিখে আপাতত সপ্তম স্থানে রয়েছে ভারত। আগের তিনটি স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ইতালি, ব্রিটেন এবং স্পেন। তবে সবথেকে প্রভাবিত তিন দেশ তথা আমেরিকা, ব্রাজিল এবং রাশিয়ার থেকে অনেকটাই ভালো অবস্থায় রয়েছে ভারত। আমেরিকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা (১,৮৩৭,১৭০) ভারতের থেকে প্রায় ১০ গুণ বেশি।
ভারতে করোনা পরিস্থিতি যে 'নিয়ন্ত্রণ'-এ রয়েছে, তা বোঝাতে এরকমই পরিসংখ্যান খাড়া করা হয়েছে। একাধিকবার স্বাস্থ্য মন্ত্রক দাবি করেছে, বিশ্বের উন্নত দেশগুলির থেকে ভারতের করোনা পরিস্থিতি ঢের ভালো। মৃত্যু হারও অনেক কম। অন্যদিকে সুস্থ হয়ে ওঠার হার বেশি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী সোমবার সকাল পর্যন্ত ভারতের ৪৮.১৮ শতাংশ করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সেখানে আমেরিকায় ৩২.৬৫ শতাংশ রোগী সেরে উঠেছেন।
তাতে খানিক স্বস্তি মিললেও গত কয়েকদিনে যেভাবে রোজই রেকর্ড হারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বিশেষজ্ঞদের। রবিবার (শনিবার সকাল আটটা থেকে রবিবার সকাল আটটা) দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮,৩৮০। সোমবার (রবিবার সকাল আটটা থেকে সোমবার সকাল আটটা) তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮,৩৯২। অথচ দিন পনেরো আগেই ছবিটা একেবারে ভিন্ন ছিল। সেই সময় ভারতে দৈনিক করোনা বৃদ্ধি ৩,০০০-৪,০০০-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করত।
দৈনন্দিন মৃতের সংখ্যা গড়ও গত কয়েকদিনে বেড়েছে। শনিবার (শুক্রবার সকাল আটটা থেকে শনিবার সকাল আটটা) ভারতে এখনও পর্যন্ত একদিনে সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে। সেদিন ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। রবিবার তা ২০০-এর নীচে থাকলেও সোমবার ২৩০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কম। এমনকী তুলনায় কম সংখ্যক করোনা আক্রান্ত থাকা দেশেও ভারতের থেকে মৃতের সংখ্যা অনেকটা বেশি। যেমন - মেক্সিকোতে মোট ৯০,৬৬৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৯,৯৩০ জনের। উলটোদিকে আবার রাশিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪১৪,৮৭৮ হলেও সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৪,৮৫৫ জনের।