শেয়ারবাজার থেকে টাকা তুলে খোঁজ নেই প্রায় ৫০ টি সংস্থার। গত ছয় মাস ধরে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে তাদের কোনও যোগাযোগ নেই। এমনকি বিএসই-তে রেজিস্টার্ড ঠিকানাতে কোনও অফিসও নেই।
সংস্থাগুলির বেশিরভাগই মহারাষ্ট্রের। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লির ঠিকানার বেশ কিছু সংস্থাও রয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (BSE) এই সংস্থাগুলিকে নিয়মানুসারে এই সংস্থাগুলির কাছে কিছু তথ্যাদি চায়। বিএসই এর জন্য পোস্ট মারফত সংস্থাগুলির ঠিকানায় নোটিশ পাঠিয়েছিল। কিন্তু, চিঠিগুলি ফেরত আসে। জানা যায়, সেই ঠিকানাগুলিতে কোনও অফিসই নেই। এর পরেই চোখ কপালে ওঠে বিএসই-র।
পরবর্তীতে পদক্ষেপ হবে?
গত ছয় মাসের তথ্যের ভিত্তিতে বিএসই এই সংস্থাগুলি এবং তাদের কর্তাদের ই-মেল করে, এ বিষয়ে জবাবদিহি চেয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কোনও উত্তর না এলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রককেও(এমসিএ ) বিষয়টি জানানো হয়েছে। কোম্পানি আইন ২০১৩-র আওতায় পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
কী বলছে আইন?
কর্পোরেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কোনও সংস্থা যদি ২ বছরের জন্য কোনও তথ্য না দেয়, তবে তা পলাতক সংস্থার ক্যাটাগরিতে রাখা হয়।
তবে কোম্পানি আইন ২০১৩-তে এর সরাসরি উল্লেখ নেই। কিন্তু এর বাইরেও বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে একাধিক নীতি রয়েছে।
বিনিয়োগকারীরা কী করবেন?
বিশেষজ্ঞরদের ধারণা, পলাতক সংস্থার কাছ থেকে বিনিয়োগের টাকা পুনরুদ্ধার করা বেশ জটিল এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। হঠাত্ নতুন কোনও সংস্থার শেয়ারের দাম হু হু করে বাড়তে দেখলেই যাচাই না করে সেখানে বিনিয়োগ করা উচিত্ নয়। পুঙ্খানুপুঙ্খ মূল্যায়নের পরেই সুপরিচিত সংস্থাগুলিতে বিনিয়োগ করুন। নতুন সংস্থায় বিনিয়োগ করলেও তার বিষয়ে ভাল করে খোঁজ খবর নিন।