ফের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস থেকে উদ্ধার হল রাশি রাশি টাকা। এবার ঘটনাস্থল বিহার। রাঁচি থেকে পাটনাগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস থেকে নগদ ৫০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। এই পরিমাণ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে এক যুবক। ধৃত যুবকের নাম বজরং কুমার। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে বিহারের এক কয়লা ব্যবসায়ীর। উল্লেখ্য, বিহার বিধানসভা নির্বাচনের এখনও প্রায় এক বছর বাকি। তার আগে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় আয়কর বিভাগের তরফে একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাকা তল্লাশিতে BJP নেতার গাড়ি থেকে উদ্ধার টাকার পাহাড়, শোরগোল জলপাইগুড়িতে
জানা যাচ্ছে, শনিবার রাতে পাটনা জংশন রেলওয়ে স্টেশনে ৫০ লক্ষ টাকার নগদ সহ ওই যুবককে গ্রেফতার করে আরপিএফ। ওই যুবক এদিন একটি ব্যাগ নিয়ে স্টেশনে ঘোরাফেরা করছিল। তা দেখে সন্দেহ হয় আরপিএফের। এরপর আরপিএফ ওই যুবকের কাছে গিয়ে ব্যাগ খুলতে বলে। কিন্তু, যুবক জানায়, চাবি হারিয়ে গিয়েছে। পরে আরপিএফের নির্দেশে ব্যাগটি খুলতেই বেরিয়ে আসে নগদ রাশি রাশি টাকা। সব ৫০০ টাকার বান্ডিল। তা দেখে হতবাক হয়ে যান আরপিএফ কর্মীরা।
এরপরেই যুবককে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে আরপিএফ। তবে যুবক জানায় ওই টাকার মালিক সে নয়। এই টাকা কয়লা ব্যবসায়ী পি ঠাকুরের। বজরং কুমার জানায় সে ঝাড়খণ্ডের পাত্রাতুরের বাসিন্দা। ব্যাগে কি ছিল সে বিষয়টি তার জানা ছিল না। এই ব্যাগটি তাকে পাটনায় পৌঁছে দিতে বলা হয়েছিল। তার জন্য ৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল।
যুবক জানায়, পি ঠাকুরের পাটনা জংশনের বাইরে এই ব্যাগটি নেওয়ার কথা ছিল। তার বিনিময়ে পাঁচ হাজার টাকার পাশাপাশি যাতায়াতের খরচ দেওয়ার কথা ছিল। এখন এই পি ঠাকুরকে খুঁজছে পুলিশ। পি ঠাকুরের পুরো নাম বলা হচ্ছে পবন ঠাকুর। বজরং কুমারকে আরপিএফ, জিআরপি এবং আয়কর দফতরের আধিকারিকরা কয়েক ঘণ্টা জেরা করে।
সূত্রের খবর, আরপিএফ বজরংয়ের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করেছে। সেগুলি লক করা ছিল। বজরং জানিয়েছে, যে এই ফোনগুলিও যে ব্যাগ দিয়েছিল সেই ব্যক্তি দিয়েছে। পুলিশ কয়লা ব্যবসায়ী পবন ঠাকুরকেও খুঁজে বের করতে তাকে নোটিশ পাঠিয়েছে। তদন্ত শেষ হওয়ার পরে, পবনের বিরুদ্ধে পিএমএলএ আইনে একটি মামলা দায়ের করতে পারে পুলিশ।