৩১ জুলাই শেষ হল আয়কর রিটার্ন ফাইল করার সময়সীমা। এই আবহে ভারতের আয়কর বিভাগ বুধবার জানিয়েছে, শেষ দিনে ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ রিটার্ন ফাইল করেছেন। মোট সব মিলিয়ে ৭ কোটি মানুষ এবার আয়কর রিটার্ন করেছেন। এদিকে আজ থেকে করদাতা যদি আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে যান, তাহলে সেই ক্ষেত্রে জরিমানা দিতে হবে। সেই ক্ষেত্রে যদি সংশ্লিষ্ট কাদাতার করযোগ্য আয় পাঁচ লাখ টাকার কম হয়, তাহরে জরিমানার অঙ্কটা হবে ১ হাজার টাকা। (আরও পড়ুন: 'বাজেটের রেশ' কেটেছে, মাসের শুরুতেই ফের কলকাতায় দাম বাড়ল সোনার)
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিতে লক্ষ্মীর কৃপা শেয়ার বাজারে, ২৫০০০ ছুঁল নিফটি, ৮২০০০ পার সেনসেক্স
আরও পড়ুন: সাইবার হানার জেরে বন্ধ কোন কোন ব্যাঙ্কের UPI পরিষেবা? যা বলছে NCPI...
এদিকে এই বাজেটে নয়া কর কাঠামোয় করদাতাদের জন্যে বাড়ানো হয়েছে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন। বাজেটে নয়া আয়র কাঠামোয় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বৃদ্ধির আগে বার্ষিক ১৫ লাখ টাকা আয় করা ব্যক্তিকে ১৪ লাখ ৫০ হাজর টাকার ওপরে আয়কর দিতে হত। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেস মিলিয়ে যা কি না হত ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬০০ টাকা। অর্থাৎ, আগের তুলনায় এখন ১৫ হাজার ৬০০ টাকা কম আয়কর দিতে হবে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বৃদ্ধি পাওয়ায়। (আরও পড়ুন: বড় সিদ্ধান্ত মমতার, একের পর এক 'সুখবর' রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্যে)
আরও পড়ুন: অগস্টে ২ দফায় লম্বা ছুটি পাবেন সরকারি কর্মীরা, এই মাসে কবে কবে ব্যাঙ্ক বন্ধ?
এদিকে যদি কোনও ব্যক্তির বার্ষিক আয় ১৫ লাখ টাকা হয়, তাহলে পুরনো আয়কর কাঠামোয় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন (৫০ হাজার), হাইজ প্রপার্টি লস (২ লাখ), ৮০সি (দেড় লাখ), ৮০ডি (৫০ হাজার) বাদ দিয়ে তাঁর করযোগ্য আয় হবে ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তাই তাঁকে ৫১০০ টাকা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেস মোট ১ লাখ ৩২ হাজার ৬০০ টাকা আয়কর দিতে হবে। আর নতুন আয়কর কাঠামোয় ১৫ লাখ আয় থেকে বাদ যাবে শুধুমাত্র ৭৫ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন। এই আবহে তাঁর করযোগ্য আয় হবে ১৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তাই তাঁকে ৫ হাজার টাকা সেস সহ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা কর দিতে হবে।
এদিকে যদি কোনও ব্যক্তির বার্ষিক আয় ২০ লাখ টাকা হয়, তাহলে পুরনো আয়কর কাঠামোয় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন (৫০ হাজার), হাইজ প্রপার্টি লস (২ লাখ), ৮০সি (দেড় লাখ), ৮০ডি (৫০ হাজার) বাদ দিয়ে তাঁর করযোগ্য আয় হবে ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তাই তাঁকে ১১,১০০ টাকা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেস মোট ২ লাখ ৮৮ হাজার ৬০০ টাকা আয়কর দিতে হবে। আর নতুন আয়কর কাঠামোয় ২০ লাখ আয় থেকে বাদ যাবে শুধুমাত্র ৭৫ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন। এই আবহে তাঁর করযোগ্য আয় হবে ১৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তাই তাঁকে ১০,৭০০ টাকা সেস সহ ২ লাখ ৭৮ হাজার ২০০ টাকা কর দিতে হবে।
এদিকে যদি কোনও ব্যক্তির বার্ষিক আয় ৩০ লাখ টাকা হয়, তাহলে পুরনো আয়কর কাঠামোয় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন (৫০ হাজার), হাইজ প্রপার্টি লস (২ লাখ), ৮০সি (দেড় লাখ), ৮০ডি (৫০ হাজার) বাদ দিয়ে তাঁর করযোগ্য আয় হবে ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তাই তাঁকে ২৩,১০০ টাকা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেস মোট ৬ লাখ ৬০০ টাকা আয়কর দিতে হবে। আর নতুন আয়কর কাঠামোয় ৩০ লাখ আয় থেকে বাদ যাবে শুধুমাত্র ৭৫ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন। এই আবহে তাঁর করযোগ্য আয় হবে ২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তাই তাঁকে ২২,৭০০ টাকা সেস সহ ৫ লাখ ৯০ হাজার ২০০ টাকা কর দিতে হবে।