দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের দেশ উত্তর মেসিডোনিয়ার নাইটক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও শতাধিক।জানা গেছে, রাজধানী স্কপিয়ে থেকে ৬০ কিলোমিটার পূর্বের শহর কোকানিতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। শহরটিতে ৩০ হাজারের মতো মানুষ বসবাস করেন। (আরও পড়ুন: ৪ পুলিশ স্টেশনে হামলা তালিবানি জঙ্গিদের, ফের গুলি-বোমার আওয়াজে কাঁপল পাকিস্তান)
সূত্রের খবর, ওই নাইটক্লাবে একটি কনসার্ট উপলক্ষ্যে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ জমায়েত হয়েছিলেন। সেখানে এডিএন নামের একটি ব্যান্ড গান করছিল। শনিবার মধ্যরাতে কনসার্ট শুরু হয়েছিল। এতে অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগই ছিল তরুণ। ভোরের দিকে নাইটক্লাবে আচমকা আগুন লাগে। দ্রুত আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারিদিক। আতঙ্কে চারিদিকে ছোটাছুটি শুরু করে দেন মানুষজন। আগুনের গ্রাসে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজনের। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল ও পুলিশ বাহিনী। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। একই সঙ্গে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: 'দেশ বিরোধী চক্রান্তের অভিযোগ', বাংলাদেশে গ্রেফতার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মহাসচিব)
আরও পড়ুন: রহস্যজনক ভাবে পাকিস্তানে খতম একের পর এক ভারত বিরোধী জঙ্গি, একনজর দীর্ঘ তালিকা
সাংবাদিক বৈঠকে মেসিডোনিয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পাঞ্চে তোশকোভস্কি জানিয়েছেন, স্থানীয় একটি পপ গ্রুপের কনসার্ট চলাকালীন রাত ২টো ৩৫ মিনিট নাগাদ নাইটক্লাবে আগুন লাগে। নাইটক্লাবে ব্যবহৃত আতশবাজি থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়।তোশকোভস্কি বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে, কিন্তু ওই ব্যক্তির জড়িত থাকার বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানায়নি। এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অগ্নিকাণ্ডের একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, আগুন লাগে নাইটক্লাবের ভেতরে হুলুস্থুল পড়ে গিয়েছে।অন্য একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, গোটা নাইটক্লাব ভয়াবহ আগুন জ্বলছে এবং রাতের আকাশ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন। অন্যদিকে, আহত এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল এবং কোচানির শহর অফিসের সামনে জমায়েত হয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আরও তথ্যের জন্য অনুরোধ করছেন। (আরও পড়ুন: ভারতীয় ডক্টরেট ছাত্রীর ভিসা বাতিল করায় ট্রাম্পের প্রশংসায় তথাগত রায়! বললেন...)
আরও পড়ুন: স্ত্রী ঊষাকে 'অসম্মান' করার অভিযোগ জেডি ভান্সের বিরুদ্ধে, ভাইরাল ভিডিয়ো
অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী হ্রিসতিজান মিকোসকি। তিনি বলেছেন, একদিনেই দেশ অনেক তরুণ প্রাণ হারিয়েছে। এটি তাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টের একটা দিন।তিনি আরও বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের কারণ নির্ণয় এবং পরিণতি সামাল দিতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।