দেশে এখনও পর্যন্ত জনধন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে ৫৪ কোটিরও বেশি। এবছরের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এই সংখ্যাটি হল ৫৪.৫ কোটির কিছু বেশি। লোকসভায় একটি প্রশ্নের উত্তরে এমনটাই জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি জনিয়েছেন, এরমধ্যে অধিকাংশ অ্যাকাউন্ট রয়েছে মহিলাদের। প্রায় ৫৬ শতাংশ জনধন অ্যাকাউন্ট রয়েছে মহিলাদের।
আরও পড়ুন: কবে সংসদে পেশ করা হবে নয়া আয়কর বিল? সামনে এল সম্ভাব্য দিনক্ষণ
নির্মলা সীতারামন বলেন, সরকার প্রতিটি ব্যাঙ্ক বহির্ভূত পরিবারের জন্য সর্বজনীন ব্যাঙ্কিং পরিষেবা প্রদান করতে ২০১৪ সালের অগস্টে প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনা শুরু করেছিল। সরকারের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্যোগগুলিকে আরও গতিশীল করার জন্য ২০১৮ সালের ১৪ অগস্টের পড়ে প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছিল। এক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক বহির্ভূত প্রাপ্তবয়স্কদের দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়েছিল। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘১৫.০১.২০২৫ পর্যন্ত মোট ৫৪.৫৮ কোটি জনধন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। তার মধ্যে ৩০.৩৭ কোটি অ্যাকাউন্ট হল (৫৫.৭ শতাংশ) মহিলাদের।’
এছাড়াও, সীতারামন প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা এবং অটল পেনশন যোজনার মতো সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলির জন্য তালিকাভুক্তির তথ্যও দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা যোজনার আওতায় ২২.৫২ কোটি মানুষের নাম নথিভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে ১০ কোটি মহিলা। প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনার অধীনে নথিভুক্ত রয়েছে ৪৯.১২ কোটি মানুষের নাম। এর মধ্যে ২২.৮২ কোটি মহিলা। আর অটল পেনশন যোজনার অধীনে ৭.২৫ কোটি মানুষের নাম নিবন্ধিত রয়েছে। এর মধ্যে ৩.৪৪ কোটি হলেন মহিলা।
অর্থ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে ২০২৪ সালের ১৪ অগস্ট পর্যন্ত প্রতিটি অ্যাকাউন্টে গড় জমার পরিমাণ ছিল ৪,৩৫২ টাকা। ১৫ অগস্টের পর প্রতি অ্যাকাউন্টে জমার পরিমাণ ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৪ সালে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে এই প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী দরিদ্রদের দুষ্টচক্র থেকে মুক্ত করার লক্ষ্য হিসেবে এই প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন। এই প্রকল্প হল আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জন্য একটি জাতীয় মিশন। এর লক্ষ্য হল ব্যাঙ্কিং, সঞ্চয় ও আমানত অ্যাকাউন্ট, ঋণ, বীমা এবং পেনশনের মতো আর্থিক পরিষেবাগুলিতে মানুষের কাছে সহজে পৌঁছে দেওয়া।