করোনায় যখন সারা দেশ আতঙ্কে কাঁপছে, তখন ব্রিটেনের রবিনস দম্পতির পরিবারে আসে তাঁদের আদরের মেয়ে লেক্সি। কিন্তু কে জানত সেই মেয়েটি বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, তাঁদের এই হাসিখুশি মেয়েটি নাকি ক্রমেই পাথর হয়ে যাচ্ছে। এই কথা শুনে রবিনস দম্পতি কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারেননি। যদি শিশুটিকে বাঁচাতে চেষ্টার কোনও কসুর করতে চান না ওই দম্পতি। ৫ মাসের এই শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য চাঁদা তুলে টাকাও সংগ্রহ করতে শুরু করেছেন তাঁরা।
শিশুটির জন্মের পর থেকেই ডেভ ও অ্যালেক্স লক্ষ্য করেন, তাঁদের মেয়ের পায়ের আঙুলগুলি স্বাভাবিকের থেকে বড়। বুড়ো আঙুল নাড়াচ্ছেই না শিশুটি। কয়েকদিন যাওয়ার পরেও এই ধরনের অবস্থার কোনও পরিবর্তন না হওয়ায় চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়া শুরু করেন ওই দম্পতি। চিকিৎসকরা তাঁদের জানান, তাঁদের মেয়ে ফাইব্রোডিসপ্লেসিয়া ওসিফিকানস প্রগ্রেসিভার মতো বিরল রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসকরা তাঁদের ব্যাখ্যা করে জানান, এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ফলে শিশুটির কঙ্কালের কাঠামোর বাইরেও হাড় জন্মাবে। শরীরের পেশিও একটা সময়ে হাড়ে পরিণত হবে। ফলে শরীরে হাড়ের সংখ্যা বেড়ে যাবে। যত সময় বাড়তে থাকবে হাড়ের সংখ্যা আরও বাড়বে। ফলে একটা সময়ে শরীর কার্যত হাড়ে পরিণত হয়ে যাবে। এছাড়াও হাতের আঙুলের দুটি সন্ধিস্থল থাকার কারণে তাঁদের মেয়ে হাত নাড়তে পারছে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই ধরনের রোগী সত্যিই খুবই বিরল। গোটা বিশ্বে লেক্সির মতো ঘটনা দেখা গিয়েছে ২০ লাখের মতো মানুষের শরীরে। এই রোগে আক্রান্ত হলে ২০ বছরেই শয্যাশায়ী হয়ে যান আক্রান্ত ব্যক্তি। বাঁচেন ৪০ বছরের মতো। তবে এত কিছুর পরেও ইন্টারনেটকে হাতিয়ার করে এই রোগের সচেতনতা প্রচারে নেমে পড়েছেন এই রবিনস দম্পতি। মেয়েকে বাঁচাতে চেষ্টার কোনও কসুর করছেন না।