রাহুল সিং
প্যাংগং সো লেকে হাতাহাতির ঠিক দু' মাস পরও পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উত্তেজনা এখনও কাটেনি। উলটে সেই উত্তেজনার রেশ সিকিম, অরুণাচল প্রদেশের মতো সেক্টরেও ছড়িয়ে পড়ছে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিষয়টির সঙ্গে অবহিত আধিকারিকরা।
গত সপ্তাহেই শীর্ষ সামরিক আধিকারিকদের বৈঠকে ‘অগ্রাধিকার’-এর ভিত্তিতে ‘দ্রুত, পর্যায়ক্রমিক এবং ধাপে ধাপে সেনা সরানো’-র বিষয়ে একমত হয়েছিল দু'দেশ। কিন্তু তারপরও সীমান্তের পরিস্থিতি পুরোপুরি অনিশ্চিত বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিকরা। নাম গোপন রাখার শর্তে এক আধিকারিক বলেন, ‘সীমান্তে না তো পরিস্থিতি পালটেছে, না তো সেই খুব তাড়াতাড়ি সেই সম্ভাবনা আছে। এলাকার (পূর্ব লাদাখ) কোনও সংঘাতের জায়গায় সেনা সরানো হয়নি বা দ্বন্দ্বও কমেনি।’
হাতাহাতি, রক্তাক্ষয়ী সংঘর্ষ, সীমান্তে সৈন্য সমাবেশের মতো বিষয়ের সাক্ষী থাকা নয়া সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমনের প্রক্রিয়া যে ঢিমেতালে চলার সম্ভাবনাই বেশি, তা আগেই জানিয়েছে ‘হিন্দুস্তান টাইমস’। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, দু'দেশের সেনার গভীরে পরস্পরের বিরুদ্ধে অবিশ্বাসের চূড়ান্ত বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি, মুখে সেনা সরানোর কথা বললেও কার্যক্ষেত্রে সীমান্তে যেভাবে সৈন্য সমাবেশ, সাঁজোয়া গাড়ি জড়ো করছে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ), তাতে বেজিংয়ের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে একাধিক প্রশ্ন রয়েছে।
এক আধিকারিক জানান, ক্রমশ একটা বিষয় স্পষ্ট যে শীতের শুরু (আগামী সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকবে দু'দেশের সেনা। অর্থাৎ ২০১৭ সালের ডোকলামের যে বিবাদ ৭২ দিন ধরে চলেছিল, পূর্ব লাদাখের উত্তেজনা প্রশমনে তার থেকে ঢের বেশি সময় লাগবে বলে মত আধিকারিকদের। যা বিবাদ শুরুর গোড়ার দিকেই আন্দাজ করেছিলেন ভারতীয় কর্তারা।