গত আড়াই বছরে ব্রেথ অ্যানালাইজার মেশিনের মাধ্যমে ৬০জন পাইলট ও ১৫০জন কেবিন ক্রুয়ের পজিটিভ ধরা পড়েছে। পাইলট ও কেবিন ক্রুরা অ্যালকোহল খেয়ে বিমানে উঠছেন কি না তা নিশ্চিত করার জন্য় এই ব্রেথ অ্যানালাইজার টেস্ট করা হয়। কিন্তু সেখানে ডাহা ফেল করেছেন বহু পাইলট ও কেবিন ক্রু।
পরিসংখ্যান অনুসারে দেখা যাচ্ছে, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত পাইলট ও কেবিন ক্রু মিলিয়ে মোট ২১০জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সংসদে একটি প্রশ্নের উত্তরে জানানো হয়েছে, ডিজিসিএর বার্ষিক নজরদারি পরিকল্পনায় নিয়মিত অডিট, স্পট চেক, নজরদারির ধারাবাহিক কাজ করা হয়। পাশাপাশি বিমান সংস্থা এনিয়ে কতটা পদক্ষেপ নিয়েছে সেটাও পরবর্তী অডিটে খতিয়ে দেখা হয়। যদি কোনও ক্ষেত্রে দেখা যায় অডিটের সময় কোনও নিয়ম মানেনি বিমান সংস্থা তবে তার বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানাও করা হয়। ডিজিসিএ এই আর্থিক জরিমানা করে।
এদিকে ডিজিসিএ আগেই তাদের গাইডলাইনে জানিয়েছিল ককপিট ও কেবিন ক্রু মেম্বারদের মধ্যে ৫০ শতাংশকে নিয়মিত অ্যালকোহল টেস্ট করা হয়। এমনকী ডিজিসিএ তাদের গাইডলাইনে জানিয়েছে, মদ্যপান করার ১২ ঘণ্টা পরেও ব্লাডে অ্য়ালকোহল লেবেল যখন একেবারে জিরো থাকে তখনও পারফরম্যান্সে সমস্যা হতে পারে। সামান্য পরিমাণ অ্যালকোহলও যদি শরীরে থাকে তবে ফ্লাইটের সুরক্ষা নিয়ে সমস্যা হতে পারে। হ্যাংওভার পর্বেও সমস্যা হতে পারে পাইলট ও কেবিন ক্রুদের।