করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কতজন হজে আসতে পারবেন, তা বেঁধে দিল সৌদি আরব। সেইসঙ্গে একাধিক শর্তও দেওয়া হয়েছে। সৌদির হজ এবং উমরা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সর্বোচ্চ ৬০,০০০ মানুষ আসতে পারবেন। তাঁদের বয়স ১৮ থেকে ৬৫-এর মধ্যে হতে হবে। সেইসঙ্গে তাঁদের সম্পূর্ণ করোনা টিকাকরণ প্রক্রিয়া শেষ হলে মিলবে হজে আসার অনুমতি।
২০১৯ সালে হজে এসেছিলেন ২৫ লাখ মানুষ। করোনার জেরে গত বছরে সেই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছিল মাত্র ১০,০০০। করোনার সংক্রমণ রুখতে শুধুমাত্র সৌদির নাগরিক এবং সেদেশে বসবাসকারীদেরই হজে যাওয়ার ছাড়পত্র মিলেছিল। এবার পুণ্যার্থীদের সংখ্যা কিছুটা বাড়ানো হলেও পুরোপুরি রাশ আলগা করতে রাজি নয় সৌদি সরকার। সেজন্য একাধিক শর্ত আরোপ করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ফাইজার, অ্যাস্ট্রোজেনেকা (ভারতে কোভিশিল্ড), মর্ডানা এবং জনজন অ্যান্ড জনসনের করোনা টিকা বৈধ বলে বিবেচনা করা হবে। পুণ্যার্থীদের কোনও দীর্ঘকালীন রোগ থাকলেও হজে আসার অনুমতি মিলবে না। তবে এবার বিদেশিদের (বিদেশ থেকে আগত) হজে আসতে দেওয়া হবে কিনা, তা এখনও স্পষ্টভাবে জানায়নি সৌদি প্রশাসন। শুধুমাত্র জানানো হয়েছে, যাঁরা হজে আসতে চান, তাঁদের অনলাইনে আবেদন জানাতে হবে।
সৌদির স্বাস্থ্যমন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়া বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে সারা বিশ্বকে যে পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে এবং নয়া করোনা প্রজাতির কারণে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে। প্রচুর মানুষ যেহেতু হজে আসেন এবং বহু জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে কাটান, তাই স্বাস্থ্যগত দিক থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখতে হবে।’