ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ওড়িশায়। একটি সিমেন্ট কারখানায় লোহার কাঠামো ভেঙে পড়ে আটকে পড়লেন বহু শ্রমিক। রাতভর অভিযান চালিয়ে ৬৪ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তিনজন শ্রমিক ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার সুন্দরগড় জেলার রাজগাংপুরের একটি সিমেন্ট কারখানায়। ভিতরে একটি কয়লা হপার (লোহার কাঠামো) ভেঙে পড়ায় এই বিপত্তি ঘটে। যে তিনজন শ্রমিক আটকে রয়েছে তাদের নাম হল সুসান্ত রাউত, দশরথ পাত্র এবং রঞ্জিত ভোল। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ওড়িশায় ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন রাস্তায় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, মৃত্যু ৭ কীর্তনিয়ার, আহত ৫
জানা গিয়েছে, উদ্ধার অভিযানের পর আটকে পড়া ৬৪ জন শ্রমিককে ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হলেও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। তারা সবাই স্থানীয় শ্রমিক এবং তাদের পরিচয় জানা গিয়েছে। রাজগাংপুরের তহসিলদার জগবন্ধু মল্লিক বলেন, ‘উদ্ধার অভিযান চলছে এবং আমরা তাদের উদ্ধারের জন্য সবরকমের চেষ্টা করছি।’ ওয়েস্টার্ন রেঞ্জের ডিআইজি ব্রিজেশ রাই জানিয়েছেন, দমকল কর্মীরা এবং ওডিশা ডিজাস্টার র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (ওডিআরএএফ) উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।দুর্ঘটনার পর কোম্পানির গেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সহকর্মী ও ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কারখানার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তারা অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।পাশাপাশি দুর্ঘটনার বিষয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হয়েছে । ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা প্রোটোকল পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে কারখানার তরফে জানানো হয়েছে।
এদিকে, সুন্দরগড়ের বিধায়ক রাজেন এক্কা কয়েক জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করেছেন। ডিআইজি নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজের তদারকি করছেন। এছাড়াও রয়েছেন স্থানীয় পুলিশ সুপার এবং মহকুমা শাসক। বিধায়ক এমন ঘটনায় কারখানার ম্যানেজারকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে, রাজগাংপুর থানার আইসি মনোরঞ্জন প্রধান জানিয়েছেন, লোহার কাঠামো ভেঙে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপ সরানোর জন্য ক্রেন ব্যবহার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে ধ্বংশস্তূপের নিচে আটকে রয়েছেন তিনজন শ্রমিক। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে শ্রমিকদের মধ্যে।