বিশ্ব কল্যাণ পুরকায়স্থ
২০ বছর বয়সী এক তরুণীর সঙ্গে ৬৫ বছর বয়সি এক ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিয়ো প্রকাশ্য়ে এসেছিল। একাধিক পর্ন সাইটে সেই ভিডিয়ো দেখা যাচ্ছিল। এরপরই অসমের জোড়হাটের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেন বলে দাবি করা হচ্ছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই তরুণী সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার ওই ব্যক্তির মৃতদেহ মিলেছে তার বাড়ি থেকে। পরিবারের লোকজন এনিয়ে ওই তরুণী ও তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। শনিবার পুলিশ ওই তরুণী সহ তার দুজন বন্ধুকে গ্রেফতার করে।
সকলেরই বয়স ২০-২১এর মধ্য়ে। পর্ন সাইটে ভিডিয়ো আপলোড করে তারা টাকা উপায় করত বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে এমনটাই খবর। ধৃতদের মধ্যে অন্যতম অভিষেক কাশ্যপ, ও কিশলয় শর্মা ও ওই তরুণী।
জোড়হাটের পুলিশ সুপার মোহনলাল মীনা জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দেবীচরণ গার্লস কলেজের ওই ছাত্রী। অন্য কলেজের ছাত্র অভিষেক কাশ্যপের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। তারা মাঝেমধ্যেই এই ধরনের ভিডিয়ো তৈরি করত। এরপর তারা অভিষেক আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পর্ন সাইটে সেগুলি আপলোড করত। ভিএনপি টেকনোলজি ব্যবহার করে এই ভিডিয়ো আপলোড করা হত।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, এই ভিডিয়ো অভিষেকের বন্ধু আপলোড করেছিল। ভারত থেকে দেখা যায় এমন সাইটে সেই ভিডিয়ো আপলোড করা হয়েছিল। এরপর স্থানীয় অনেকেই সেই ভিডিয়ো দেখে ফেলেন। এদিকে ৬৫ বছর বয়সি ওই ব্যক্তি চিহ্নিত হয়ে যান। তারপরই বাড়ি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর পরিবারের লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই তরুণী সহ দুজনকে গ্রেফতার করে।
এদিকে অভিষেকের ল্যাপটপ থেকে পুলিশ প্রচুর ভিডিয়ো পেয়েছে। যেখানে ওই তরুণীর সঙ্গে বিভিন্ন বয়সের মানুষের ঘনিষ্ঠতার যৌনতামূলক ভিডিয়ো রয়েছে। মূলত সেগুলি আন্তর্জাতিক পর্ন সাইটে আপলোড করা হত। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, একই তরুণীর সঙ্গে বিভিন্ন বয়সের পুরুষদের ওই ভিডিয়ো। ভিডিয়ো আপলোড করে সম্ভবত ওই তরুণী ও তার বন্ধুরা টাকা আয় করত। তিনজনের ব্যাঙ্কের নানা তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে যে ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন তাঁর আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। সেক্ষেত্রে এটি আত্মহত্যা নাকি এর পেছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কি না সেটা দেখা হচ্ছে। এদিকে ওই তরুণী সম্প্রতি অভিেষেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বলেছিল বেআইনী সাইটে তাদের ভিডিয়ো আপলোড করে অভিষেক।