অসম, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের একাংশে বন্যা পরিস্থিতি। এর সঙ্গেই উত্তরাখণ্ডে ও হিমাচল প্রদেশে ধস নামছে একের পর এক। সব মিলিয়ে বর্ষা চলে যাওয়ার আগে একেবারে মারণ খেলা দেখাতে শুরু করেছে দেশ জুড়ে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, অগস্টের শেষভাগ পর্যন্ত দেশে প্রায় ৯ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি ছিল। এদিকে কিছু রাজ্যে অগস্ট মাসে অস্বাভাবিক বৃষ্টি হয়। তার জেরেই এই বন্যা পরিস্থিতি। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুসারে ১লা জুন থেকে প্রবল বৃষ্টির জেরে ধস ও বন্যায় অন্তত ৬৮০জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টাতে প্রবল বৃষ্টির জেরে মৃত্যু হয়েছে ১৩জনের।
কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুসারে অসমের ২২টি জেলা, বিহারের ৩৬টি, উত্তর প্রদেশের ১২টি জেলা ও পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের দুটি করে জেলাতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গঙ্গা, কোশি, বাগমতী, গণ্ডক, ঘাগরা, মহানন্দা নদীর জন হু হু করে বাড়ছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় প্রায় দেড় মিলিয়ন মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছেন।
এদিকে পরিসংখ্যান বলছে এবার হিমাচলে ও উত্তরাখণ্ডে গত বছরের তুলনায় কম বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ব্যাপক ধসে নেমেছে। এদিকে অসমের পরিস্থিতির দিকে নজর দিলে দেখা যাচ্ছে অগস্ট মাসে ২৯৬.৩ মিমি বৃষ্টি হয়েছে অসমে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ৮ শতাংশ অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। বর্ধমানে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। গত সপ্তাহে কোচবিহারে প্রায় ১৩৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরেও ৯৮ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে।