একটি বা দুটি নয়, দ্বিতীয় ঢেউয়ে বারাণসী ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে করোনাভাইরাসের সাতটি প্রজাতি দাপট দেখিয়েছে। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় এবং হায়দরাবাদের সিএমআইআর সেন্টারের সেলুলার অ্যান্ড মলিউকুলার বায়োলজির (সিসিএমবি) যৌথ গবেষণায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টি-ডিসিপ্লিমনারি রিসার্চ ইউনিটের প্রধান তথা গবেষক দলের প্রধান রয়না সিং জানান, গত এপ্রিলে কাজ শুরু করা হয়েছিল। মূলত সেই মাসেই বারাণসী শহর এবং চাঁদউলি, সোনভদ্র, জৌনপুর ও ভাদোহীর গ্রামীণ এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সিসিএমবির গবেষকরা সেই নমুনা জিন সিকোয়েন্সিং করেন। তাতে দেখা যায়, এলাকায় করোনাভাইরাস কমপক্ষে সাতটি প্রজাতি আছে। মোট ১৩০ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্টের বেশি প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছে। যা ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের অন্যতম কারণ।
আরও নির্দিষ্ট করে সিসিএমবির উপদেষ্টা রাকেশ মিশ্র জানান, ডেল্টা (বি.১.৬১৭.২ ভ্যারিয়েন্ট) ভ্যারিয়েন্টেরই দাপট দেখা গিয়েছে বারাণসী এবং সংলগ্ন এলাকায়। তিনি বলেন, ‘আমরা যে নমুনা পরীক্ষা করেছি, তাতে সবথেকে বেশি বি.১.৬১৭.২ ভ্যারিয়েন্ট (ডেল্টা) চিহ্নিত করা হয়েছে। ৩৬ শতাংশ নমুনায় সেই ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে। অপর উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট হল বি.১.৩৫১। যা দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবার চিহ্নিত হয়েছিল। সেটাও এই এলাকায় পাওয়া গিয়েছে।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘এই গবেষণা আবারও প্রমাণ করল যে দেশে এখন ডেল্টা প্রজাতির করোনাভাইরাস সবথেকে ছড়িয়েছে। তবে আবারও করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রুখতে অন্যান্য প্রজাতিক দিকেও আমাদের নজর রাখতে হবে।’