৭ জন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিল হামাস জঙ্গিরা। গাজা থেকে এই ইজরায়েলিরা পৌঁছানোর সাথে সাথেই দেশটিতে উদযাপনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ইজরায়েলি পতাকা নিয়ে তেল আবিবের রাস্তায় নেমে এসেছে মানুষ। বলা হয়, জীবিত অবস্থায় ২০ জন হামাসের বন্দিদশায় রয়েছে। তাদের মধ্যে ৭ জনকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে প্রথম দফায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বিনিময়ে শতাধিক প্যালেস্তিনীয় বন্দিকে মুক্তি দিতে যাচ্ছে ইজরায়েল।
হামাসের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন গাই গিলবোয়া দালাল, ইতান মোর, মাতান অ্যাগ্রেস্ট, অ্যালন ওহেল, গালি এবং জিভ বারম্যান এবং ওমরি মিরান। বর্তমানে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের অবস্থা কী তা জানা যায়নি। তাদের শারীরিক অবস্থা কেমন আছে, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা দরকার কি না, সেই বিষয়ে প্রাথমিক ভাবে কোনও খবর আসেনি। হামাসের বন্দিদশা থেকে এই লোকদের মুক্তি তেল আবিবের বড় পর্দায় দেখা যায় এবং এরপরই উদযাপন শুরু হয়ে যায়। হামাস এই বন্দিদের রেড ক্রস সোসাইটির কাছে হস্তান্তর করে। পরে আরও ইজরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দেবে।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ কার্যকর হওয়ার কয়েকদিন পর মিশরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত সম্মেলন। এই অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের পাশাপাশি সভাপতিত্ব কবেন মিশরের রাষ্ট্রপতি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসও এই সম্মেলনে অংশ নেবেন। এদিকে ভারতও এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবে। কীর্তি বর্ধন সিংকে ভারতের বিশেষ প্রতিনিধি হিসাবে সম্মেলনে যোগ দেবেন।
প্রসঙ্গত, গত ১০ অক্টোবর থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। হামাস আজ, সোমবার সকালে প্রায় ২০ জন জীবিত বন্দিকে মুক্তি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলি শহরগুলিতে আক্রমণ করে প্রায় ১২০০ লোককে হত্যা করেছিল হামাস। এরপরই ইজরায়েল গাজায় আক্রমণ শুরু করে। হামাস ২৫১ জনকে বন্দি করেছিল সেই হমলায়। তাদের মধ্যে ৫০ জনেরও বেশি এখনও তাদের কব্জায় রয়েছে। এদিকে গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইজরায়েলি সামরিক অভিযানে এখনও পর্যন্ত ৬৬ হাজারেরও বেশি গাজাবাসী নিহত হয়েছে।