২০০৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল যে তফশিলি জাতি উপজাতিদের মধ্যে বিভািজন করা যাবে না। সেই রায় এবার পুনর্বিচার করবে সুপ্রিম কোর্টের সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অরুণ মিশ্রর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ জানায় যে রাজ্যরা নিজেদের মতো করে বিভাজন করতে পারে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর জেরে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট যেহেতু অতীতে বলেছে যে সাব-ক্লাসিফিকেশন করা সম্ভব নয়, তাই এবার পুরো বিষয়টি সাত সদস্যের বেঞ্চের কাছে যাবে।
এদিন আদালত বলে রাজ্যরা সংরক্ষণ দিতে পারলে, সাব ক্লাসিফেকশনও করা যাবে। কিন্তু এটি ইভি চিন্নাইয়াহ বনাম অন্ধ্রপ্রদেশ মামলার রায়ের বিপক্ষে চলে যাচ্ছে। সেই মামলার রায়ও যেহেতু পাঁচ বিচারপতি দিয়েছিলেন, তাই এই ক্ষেত্রে পুরো বিষয়টি সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের শোনা উচিত বলে জানায় বেঞ্চ।
এই মামলাটি ২০০৬ সালের পঞ্জাব সরকারের একটি আইনের জেরে দায়ের করা হয়েছিল। সেখানে বলে হয়েছিল একটি বিশেষ চাকরি যে তফশিলি জাতির দুই জাতি বাল্মিকী ও মাঝবিদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে ৫০ শতাংশ করে। এই আইনের বিরুদ্ধে মামলা করেন একজন যিনি অন্য এক তফশিলি জাতিভুক্ত ছিলেন। এই আইনের জেরে চাকরি খুইয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
পঞ্জাব হাইকোর্ট বলে যে চিন্নাইয়াহ মামলার রায় অনুযায়ী এই আইন অসাংবিধানিক। তারপর এই মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চে। সেখান থেকে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ ঘুরে এবার সাত সদস্যের বেঞ্চ এই মামলা শুনবে।