মুহূর্তের মধ্যে আনন্দ বদলে গেল বিষাদে। পিকনিকে তুমুল হুল্লোড় চলছিল। আর তার মাঝেই ঘটে গেল বিপত্তি। হুল্লোড় শেষে আর বাড়ি ফেরা হল না এক পরিবারের একাধিক সদস্যের। পিকনিকের মাঝেই বাঁধের জলে তলিয়ে গেলেন এক পরিবারের সাতজন সদস্য। এখনও পর্যন্ত মাত্র একজনকে উদ্ধার করা গেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, কর্ণাটকের তুমাকুরুতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। মঙ্গলবার মার্কোনাহাল্লি বাঁধের ধারে পিকনিকে গিয়েছিলেন এক পরিবারের ১৫ জন সদস্য। সেখানেই খাওয়াদাওয়া, নাচগানে মেতেছিলেন সকলে। ছবিও তুলেছিলেন বাঁধে নেমে। আচমকা সেই বাঁধের জলের তোড়ে সাতজন তলিয়ে যান। ছয়জন এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন। তুমাকুরুর পুলিশ সুপার অশোক কেভি জানিয়েছেন, কমপক্ষে ১৫ জন একসঙ্গে পিকনিকে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন মহিলা ও শিশু বাঁধের জলে নেমে ছবি তুলছিলেন। আচমকাই জল ছাড়া হয় সেই ড্যামে। ক্রমেই বাড়তে থাকে জলস্তর। সেই জলের তোড়ে সকলে ভেসে যান। সাতজনেই মুহূর্তের মধ্যে ভেসে যান। এদিকে, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও দমকল বাহিনী। কয়েক ঘণ্টা পর নওয়াজ নামের এক যুবককে বাঁধ থেকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন-'মেটাল অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কস!' রসায়নে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
বুধবার সকালে পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা গেছে। তাঁদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি চারজনের খোঁজে গতকাল তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলেছিল। বুধবার সকাল থেকে ফের তল্লাশি শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনার তদন্ত এখনও জারি রয়েছে। পুলিশ সুপার অশোক কেভি জানিয়েছেন, ওই সাতজনের মধ্যে নওয়াজ ছাড়া বাকিরা মহিলা ও শিশু। ২ জনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আদিচুনচানাগিরি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মৃতদের নাম সাজিয়া ও আরবিন। নিখোঁজ চারজনের মধ্যে ২ শিশু রয়েছে। নিখোঁজ চার জন হল তাবাসসুম (৪৫), শাবানা (৪৪), মিফরা(৪) এবং মাহিব (১)। জানা গিয়েছে, ওই পরিবারের সদস্যরা আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলেন। সেখানে খাওয়াদাওয়ার পর বাঁধে গিয়েছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে,আনন্দ করতে জলে নামেন তাঁরা। এরপরই এই বিপত্তি ঘটে। মার্কোনাহাল্লি বাঁধের ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছে, হঠাৎ প্রাকৃতিকভাবে জলের স্রোত বেড়ে গেলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, সাইফন সিস্টেম বাঁধ থেকে হঠাৎ কেন জল ছাড়ল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।