মানবপাচারকারীদের মাধ্যমে সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে খাবার ও জল সংকটের কারণে সাতজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন৷ মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপি এই তথ্য জানায়৷ মানবপাচারকারীদের মাধ্যমে সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে খাবার ও জল সংকটের কারণে সাতজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন৷ মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপি এই তথ্য জানায়৷
এএফপির খবরে বলা হয়, পাচারকারীদের সহায়তায় ৬৫ জন রোহিঙ্গার একটি দল ঝুকিপূর্ণভাবে সাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছিল৷ সোমবার সকালে মিয়ানমারের সমুদ্ররক্ষীরা দেশটির দক্ষিণের শহর পেপোনের নিকটবর্তী সমুদ্রে নৌকোয় ভাসমান দেখতে পেয়ে তাদের উদ্ধার করে৷
এসব রোহিঙ্গা কোথা থেকে বা ঠিক কখন সমুদ্রপথে যাত্রা শুরু করেছিল, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি৷ তবে সমুদ্রে পাড়ি দিতে গিয়ে তারা খাবার ও জল সংকটে ভুগছিলেন বলে জানা গেছে৷ উদ্ধারের পর খাবার ও জল সংকটে অসুস্থ হয়ে পড়া তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী নিহত হন৷ তাছাড়া উদ্ধার হওয়া আরও ছয়জন চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা গিয়েছে৷
খবরে বলা হয়, অভিযানে চারজন পাচারকারীকে আটক করেছেন মিয়ানমারের সমুদ্ররক্ষীরা৷ তাছাড়া, উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে অন্য ছয় জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে৷ অবশ্য মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা উদ্ধার হওয়া এসব রোহিঙ্গাকে ‘বাঙালি' বলে উল্লেখ করেছে৷ মিয়ানমারের জান্তা সরকার ও দেশটির অনেক গণমাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি' হিসেবে চিহ্নিত করে থাকে৷
জাতিগত এই পরিচয় নিয়ে মিয়ানমারের আরাকানে বসবাসরত এই রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিন ধরেই রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছেন৷ নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি তারা আরাকানে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ইত্যাদি মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে অমানবিক জীবন যাপন করছেন৷
২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী তাদের উপর হত্যা, নির্যাতন চালালে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা প্রতিবেশি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়৷ কক্সবাজারে শরণার্থী ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের অনেকেই ছোট ছোট নৌকায় করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়া-সহ কাছাকাছি অন্যান্য দেশে পোঁছনোর চেষ্টা করে থাকেন৷
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)