Badlapur violence: বদলাপুরে যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে হিংসায় জড়ানো ৭২ গ্রেফতার, নজরে ৫০০

৪ বছরের দুই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মঙ্গলবার বদলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অবরোধ করেন শহরবাসী। সেই বিক্ষোভ হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, অবরোধ তুলতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল পুলিশ। মহিলা সহ অন্তত ২৫ জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছিলেন।

আরজি কর কাণ্ডের মধ্যেই মহারাষ্ট্রের থানে শহরে দুই স্কুল ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগে তুমুল বিক্ষোভ করেছিলেন শহরবাসী। স্কুল ঘেরাও করে বিক্ষোভ করার পাশাপাশি বদলাপুর রেল স্টেশনও দীর্ঘক্ষণ ধরে তারা অবরোধ করেন। কার্যতা পুলিশের সঙ্গে খণ্ড যুদ্ধ বাঁধে ক্ষিপ্ত জনতার।  পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি। তাতে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী ও আধিকারিক আহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত ৭২ জনকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া ৫০০ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

৪ বছরের দুই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মঙ্গলবার বদলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অবরোধ করেন শহরবাসী। সেই বিক্ষোভ হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, অবরোধ তুলতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল পুলিশ। মহিলা সহ অন্তত ২৫ জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছিলেন। এই ঘটনার পরে একাধিক মহিলাকে নোটিশ জারি করার পরে বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ধৃতদের আদালতে হাজির করা হয়েছিল। তাদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। 

মঙ্গলবারের ঘটনায় থানে পুলিশ আইন লঙ্ঘন, সশস্ত্র বেআইনি সমাবেশ, হামলা এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি করার অভিযোগে তিনটি এফআইআর দায়ের করেছে। সিসিটিভি এবং সংবাদ মাধ্যমের ফুটেজ পরীক্ষা করে বাকি অভিযুক্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। বদলাপুর স্টেশনে হিংসার ঘটনায় জিআরপিও একটি প্রথক এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। তারা ৩২ জনকে গ্রেফতার করেছে।

এদিকে, মঙ্গলবারের এই ঘটনার পরেই বদলাপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তারপরই বুধবার থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এদিন অধিকাংশ বাসিন্দাদের বাড়ির ভিতরে থাকতে দেখা যায়। বেশ কয়েক ঘণ্টা এলাকার দোকানপাট বন্ধ ছিল। এছাড়াও সন্ধ্যা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল। বিদ্যুৎ পরিষেবাও শহরের অনেক এলাকায় ব্যাহত হয়েছিল।

অন্যদিকে, শিশুদের যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত অক্ষয় শিন্ডেকে স্থানীয় বিশেষ পকসো আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তার পুলিশ হেফাজত ২৬ অগস্ট পর্যন্ত বাড়ানোর নির্দেশ দেন। শুধু তাই নয়, অভিযুক্তের হয়ে কোনও আইনজীবী না লড়ার সিদ্ধান্ত নেন। এছাড়াও তারা  প্রতিবাদকারীদের হয়ে বিনামূল্যে আইনি লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দেন।