২০২২ প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে প্রথা মেনে এদিন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ২৬ জানুয়ারির আগে , মঙ্গলবার নিজের বক্তব্যে দেশভাবনা থেকে শুরু করে নাগরিক অধিকার ও কর্তব্য নিয়ে একাধিক বক্তব্য রেখেছেন রাষ্ট্রপতি। তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে কোভিড পরিস্থিতি। রাষ্ট্রপতি তুলে ধরেছেন প্রবল চ্যালেঞ্জের মুখে দেশের একাত্ম হয়ে লড়াইয়ের প্রসঙ্গ। তুলে ধরেছেন সেনা জওয়ানদের আত্মত্যাগ থেকে দেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রে লড়াইয়ের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, দেশের আজ রাষ্ট্রপতির ভাষণে কোন কোন দিক উঠে এল।
রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বচ্ছ্বতা অভিযান থেকে শুরু করে কোভিড টিকাকরণের সাফল্য তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ বলেন, এর থেকেই দেশবাসীর কর্তব্যনিষ্ঠার পরিচিতি পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, এদিনের ভাষণে রাষ্ট্রপতি তুলে ধরেন নেতাজির ১২৫ তম জন্মবার্ষিকীর কথা। নেতাজির প্রসঙ্গ তুলে ধরে, রাষ্ট্রপতি বলেন,'তাঁর স্বাধীনতার প্রতি খোঁজ ও উচ্চাকাঙ্খা আমাদের অনুপ্রাণিত করে।'
সংবিধানের প্রিয়াম্বল সম্পর্কে বক্তব্য রেখে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বলেন, গণতন্ত্র, ন্যায়, স্বাধীনতা, সমানাধিকার কোনপথে চালিত হবে তা বর্ণিত রয়েছে প্রিয়াম্বলে। এর উপরই দেশের প্রজাতন্ত্র নির্ভর করে রয়েছে বলে বর্ণনা করেন রামনাথ কোবিন্দ। এই আদর্শকে নিজের মধ্যে নিয়ে সমবেতভাবে চলার বার্তা দিয়েছেন রামনাথ কোবিন্দ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের গণতন্ত্রের উজ্জ্বলতা সারা বিশ্বে বন্দিত হয়ে আসছে। এই প্রসঙ্গে তিনি প্রজাতন্ত্র দিবসের উজ্জ্বল উদযাপনের কথাও বলেন, জানান ২০২২ সালে করোনা আবহে খানিকটা কম আড়ম্বরে আয়োজন করা হচ্ছে। অতিমারী সত্ত্বেও এই প্রজাতন্ত্র দিবস ঘিরে মানুষের উৎসাহে ভাটা পড়েনি বলে বর্ণনা করেছেন রাষ্ট্রপতি।
এদিনের ভাষণে দেশে গান্ধীজির আদর্শে বিভিন্ন দিককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তাও দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। পাশাপাশি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদেরও অবদানের উল্লেখ করেছেন তিনি।
কোভিড পরিস্থিতির মাঝে দেশ যেভাবে স্বাস্থ্য ক্ষেত্র থেকে আর্থিক ক্ষেত্রে লড়াই করেছে , তার ভূয়সী প্রশংসা করেন রাষ্ট্রপতি। দেশের মাটিতে ভ্যাকসিন তৈরিরও প্রশংসা উঠে আসে তাঁর কণ্ঠে।
রাষ্ট্রপতি দেশের গণতন্ত্রের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ' অধিকার ও কর্তব্য একই সিকির দুটো পিঠ।'