৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবস ঘিরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে নানান অনুষ্ঠান। দিল্লির রাজপথে এদিন সকালেই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হয় ২০২২ সালের প্রজাতন্ত্র দিবস। এদিকে, দিল্লি থেকে বহু ক্রোশ দূরে ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্ত ওয়াঘা-আটারিতেও দেখা গিয়েছে ২৬ জানুয়ারি উপলক্ষ্যে উৎসবের মেজাজ। গত বছর যে দৃশ্য ২৬ জানুয়ারিতে দেখেনি ওয়াঘা সীমান্ত, সেই ঐতিহ্যের দৃশ্য চলতি বছরে ফের একবার দেখা গেল!
ঐতিহ্য মেনে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ওয়াঘা-আটারি সীমান্তে, বিএসএফ ও পাকিস্তানি রেঞ্জার্সদের মধ্যে মিষ্টি বিনিয়মের প্রথা প্রচলিত রয়েছে। তবে গত বছর সীমান্তে ২৬ জানুয়ারির দিন তা দেখা যায়নি। এরপর ২০২২ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে সেই ঐতিহ্য ফের একবার বাস্তবের রূপ নিল। বুধবার ওয়াঘা সীমান্তে পাকিস্তানি রেঞ্জার্স ও ভারতের বিএসএফ-এর তরফে মিষ্টি আদানপ্রদান করা হয়। পাকিস্তানি রেঞ্জার্সরা সীমান্তে বিএসএফ আধিকারিকদের ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্য়ে শুভেচ্ছা বার্তা জানান। উল্লেখ্য, প্রজাতন্ত্র দিবস ছাড়াও স্বাধীনতা দিবস, ইদ, দোলের মতো অনুষ্ঠানে, ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও পাকিস্তানের রেঞ্জার্সদের মধ্যে মিষ্টি আদান প্রদান করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। তবে গত কয়েক বছরে মূলত কাশ্মীর সহ সন্ত্রাসবাদ ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কে অবনতি দেখা যায়। এদিকে, সদ্য তাদের প্রকাশিত জাতীয় নিরাপত্তা নীতিতে পাকিস্তান সাফ জানিয়েছে যে, বাকি প্রতিবেশী দেশের মতো ভারতের সঙ্গেও আগামী ১০০ বছর তারা শান্তির সহাবস্থান চায়। তারপর আজকের এই মিষ্টির আদান প্রদান আরও খানিকটা তাৎপর্য বাড়িয়ে দিল দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের দিক থেকে।
এদিকে, দিল্লির রাজপথে এদিন সকাল থেকেই একের পর এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আসর দেখা গিয়েছে। বুধবার সকালে ওয়ার মেমোরিালে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং । উপস্থিত ছিলেন দেশের সেনার তিন বাহিনীর প্রধানরা। এরপর দিল্লির রাজপথে ২১ টি তোপধ্বনির সঙ্গে উত্তোলন করা হয় দেশের জাতীয় পতাকার। শুরু হয় প্রজাতন্ত্র দিবসের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সহ উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।