ভারতের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আজ দিল্লির লাল কেল্লায় ভাষণ রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিকে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযানের অংশ হিসেবে দেশ জুড়ে সাধারণ জনগণরা তাঁদের বাড়িতেও আজ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন।
ওয়াঘা সীমান্তে ভারত-পাক মিষ্টি বিনিময়
স্বাধীনতা দিবসে পঞ্জাবের আটারি-ওয়াঘা সীমান্তে মিষ্টি বিনিময় করে ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী এবং পাকিস্তান রেঞ্জার্স।
দেশবাসীকে কী কী বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী?
PM Modi Speech Highlights: ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসে দেশবাসীকে কী কী বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী? পড়ুন বিস্তারিত
দু'বছর পর রেড রোডে স্বাধীনতা দিবসে সাধারণ মানুষ
এবার দু’বছর পর সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে রেড রোডে উদযাপন করা হল স্বাধীনতা দিবস। এদিন বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের ট্যাবলো প্রদশর্নী করা হয়। স্তোত্র পাঠ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
রেড রোডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
রেড রোডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গার্ড অফ অনার দেওয়া হল। আকাশ থেকে হেলিকপ্টারে করা হয় অনুষ্ঠানস্থলে। অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে পুলিশ আধিকারিকদের পদক প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী।
‘দুনিয়া কতদিন আমাদের সার্টিফিকেট দেবে?'
লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুনিয়া কতদিন আমাদের সার্টিফিকেট দেবে? দুনিয়ার সার্টিফিকেটের উপর নির্ভর আমরা কতদিন কাটাব? আমরা কি নিজেদের মানদণ্ড তৈরি করব না? ১৩০ কোটির দেশ কি নিজেদের মানদণ্ড তৈরির জন্য কিছু করতে পারবে না? কোনও পরিস্থিতিতে অন্যদের অনুসরণ করার দরকার নেই। আমরা যেমন, সেরকমই থাকব। শুধু নিজেদের ক্ষমতাবলের উপর দাঁড়িয়ে থাকব আমরা। আমরা পরাধীনতা থেকে মুক্তি চাই। মনের ভিতর দূরদূরান্তে, সমুদ্রের গভীরেও পরাধীনতার ভাবনা যেন না থাকে।’
দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র নিয়ে মোদীর বার্তা
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার করার ডাক দিয়ে পরিবারবাদ শেষ করার বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
‘জয় অনুসন্ধান’
প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিন ডিজিটাল ইন্ডিয়ার উপর জোর দেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মন্ত্র - ‘জয় জওয়ান, জয় কিষাণ’ অনুসরণ করে ‘জয় অনুসন্ধান’-এর ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
‘৫টি বড় সংকল্প নিয়ে হাঁটতে হবে’
মোদী আরও বলেন, ‘আমাদের ৫টি বড় সংকল্প নিয়ে হাঁটতে হবে। এই সংকল্পগুলির মধ্যে একটি হবে উন্নত ভারত। দ্বিতীয়ত, দাসত্বের কোনও অংশ যেন দেশের কোনও কোণে না থাকে। এখন আমাদের ১০০ শতাংশ নিশ্চিত করতে হবে যাতে আমরা দাসত্বের চিন্তাভাবনা ভুলে এগোতে পারি। এই দাসত্বের চিন্তাভাবনা আমাদের শক্ত করে ধরে রেখেছে। দাসত্বের ক্ষুদ্রতম বিষয়গুলি থেকেও মুক্তি পেতে হবে আমাদের।’
‘স্বাধীনতাপ্রেমীদের স্বপ্ন পূরণ করতে হবে’
মোদী বলেন, ‘আমি মনে করি আগামী ২৫ বছরের জন্য আমাদের ৫টি ভিত্তির উপর নজর দিতে হবে। ২০৪৭ সালে আমাদের স্বাধীনতাপ্রেমীদের স্বপ্ন পূরণ করতে হবে। তখন এই পঞ্চসংকল্প পূরণ করে আমাদের স্বাধীনতার ১০০ বছর পূরণ করতে হবে।’
মোদীর পাঁচ সংকল্প
ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করতে আগামী ২৫ বছরে জন্য পাঁচটি সংকল্প গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আরও পড়ুন এখানে
‘আশা, আকাঙ্খার যাত্রা’
প্রধানমন্ত্রী মোদী: এই ৭৫ বছরের যাত্রায়, আশা, আকাঙ্খার মধ্যে আমরা সকলের প্রচেষ্টায় এখানে পৌঁছেছি। ২০১৪ সালে ভারতীয় নাগরিকরা যখন আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন - আমি স্বাধীনতার পরে জন্মগ্রহণকারী প্রথম ব্যক্তি হলাম যিনি লাল কেল্লা থেকে এদেশের নাগরিকদের গুণগান গাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন।
‘ভারতের মানুষ ইতিবাচক পরিবর্তন চায়’
প্রধানমন্ত্রী মোদী: ভারত একটি উচ্চাকাঙ্খী সমাজ। এখানে পরিবর্তনগুলি সম্মিলিত চেতনার দ্বারা চালিত হয়। ভারতের মানুষ ইতিবাচক পরিবর্তন চায় এবং এতে অবদান রাখতে চায়। প্রতিটি সরকারকে এই আকাঙ্খার সমাজকে মোকাবিলা করতে হবে।
‘অনেকেই সন্দেহ করেছিল…’
প্রধানমন্ত্রী মোদী: আমরা যখন স্বাধীনতা অর্জন করি তখন অনেক আমাদের উন্নয়নের গতিপথ নিয়ে সন্দেহ করেছিল। কিন্তু, তারা জানত না এদেশের মানুষের মধ্যে আলাদা কিছু আছে। তারা জানত না যে এই মাটি বিশেষ।
‘আদিবাসী সম্প্রদায়কে ভুলতে পারি’
প্রধানমন্ত্রী মোদী : আমরা যখন স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা বলি, তখন আমরা আদিবাসী সম্প্রদায়কে ভুলতে পারি না। ভগবান বিরসা মুন্ডা, সিধু-কানহু, আল্লুরী সীতারামা রাজু, গোবিন্দ গুরু - এমন অসংখ্য নাম রয়েছে যারা স্বাধীনতা সংগ্রামের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন এবং মাতৃভূমির জন্য বেঁচে থাকতে ও মরতে আদিবাসী সম্প্রদায়কে অনুপ্রাণিত করেছেন।
‘দেশের মানুষ অনেক চেষ্টা করেছে’
প্রধানমন্ত্রী মোদী: আমাদের দেশের মানুষ অনেক চেষ্টা করেছে, হাল ছাড়েনি এবং তাদের সংকল্প ম্লান হতে দেয়নি।
‘ভারত গণতন্ত্রের জননী’
প্রধানমন্ত্রী মোদী: ভারত গণতন্ত্রের জননী। ভারত প্রমাণ করেছে যে তার একটি মূল্যবান ক্ষমতা রয়েছে এবং ৭৫ বছরের যাত্রায় অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।
'নেহরু, শ্যামাপ্রসাদের সামনে মাথা নত…'
প্রধানমন্ত্রী মোদী: যারা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন বা জাতি গঠন করেছেন - ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ, নেহরুজি, সর্দার প্যাটেল, এসপি মুখার্জি, এলবি শাস্ত্রী, দীনদয়াল উপাধ্যায়, জেপি নারায়ণ, আরএম লোহিয়া, বিনোবা ভাবে, নানাজি দেশমুখ, সুব্রামনিয়া ভারতী - এমন মহান ব্যক্তিত্বদের সামনে মাথা নত করার দিন আজ।
নারী শক্তিকে কুর্নিশ মোদীর
প্রধানমন্ত্রী মোদী: প্রতিটি ভারতীয়র হৃদয় গর্বে ভরে যায় যখন তাঁরা ভারতের নারীদের শক্তির কথা স্মরণ করে- তা সে রাণী লক্ষ্মীবাই, ঝালকারি বাই, চেন্নাম্মা, বেগম হজরত মহল হোক বা অন্য কেউ।
‘আজকে তাঁদের স্মরণ করার দিন…’
প্রধানমন্ত্রী মোদী: 'আজাদি মহোৎসব'-এর সময় আমরা আমাদের অনেক জাতীয় বীরদের স্মরণ করেছি। ১৪ আগস্ট আমরা দেশভাগের ভয়াবহতার কথা স্মরণ করেছি। আজ, দেশের সেই সমস্ত নাগরিকদের স্মরণ করার দিন যারা এই ৭৫ বছরে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অবদান রেখেছেন।
মোদীর ভাষণে নেহরু
মোদী বলেন, ‘এই জাতি মঙ্গল পান্ডে, তাতিয়া টোপে, ভগত সিং, সুখদেব, রাজগুরু, চন্দ্রশেখর আজাদ, আশফাকুল্লাহ খান, রাম প্রসাদ বিসমিল এবং আমাদের অগণিত বিপ্লবীদের প্রতি কৃতজ্ঞ। তাঁরা ব্রিটিশ শাসনের ভিত্তি কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন।’ এদিন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেলের পাশাপাশি জওহরলাল নেহরুরও উল্লেখ করেন।
'বাপু, নেতাজির প্রতি কৃতজ্ঞ দেশ'
প্রধানমন্ত্রী আজ বলেন, ‘নাগরিকরা বাপু, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, বাবাসাহেব আম্বেদকর, বীর সাভারকরের প্রতি কৃতজ্ঞ। তাঁরা কর্তব্যের পথে জীবন দিয়েছেন। কর্তব্যের পথই তাঁদের জীবন পথ ছিল।’
ভাষণ শুরু মোদীর
নিজের ভাষণ শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি স্বাধীনতা দিবসে দেবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নিজের বার্তা শুরু করলেন।
লাল কেল্লায় পুষ্প বৃষ্টি
MI-17 হেলিকপ্টার লাল কেল্লা এলাকায় পুষ্প বৃষ্টি করল। মঞ্চে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
জাতীয় পতাকা উত্তোলন প্রধানমন্ত্রী মোদীর
লাল কেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বেজে উঠল জাতীয় সঙ্গীত ‘জন গণ মন’।
প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অফ অনার
প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হচ্ছে। ইন্সপেকশনের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদী হাঁটতে শুরু করলেই বায়ুসেনার ব্যান্ড বাজাতে শুরু করে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীকে স্বাগত জানালেন রাজনাথ
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট এবং প্রতিরক্ষা সচিব ডঃ অজয় কুমার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগত জানালেন।
জাতীয় পতাকা উত্তোলন রাজনাথ সিংয়ের
নিজের বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
বীরত্ব পুরষ্কার
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বীর সৈন্যদের আজ ১০৭টি বীরত্ব পুরষ্কার দেবেন৷ রবিবার ঘোষিত পদকগুলির মধ্যে তিনটি হল কীর্তি চক্র এবং ১৩টি শৌর্য চক্র। যথাক্রমে এগুলি দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ শান্তিকালীন বীরত্বের সম্মান৷
দিল্লি জুড়ে কড়া নিরাপত্তা
এদিকে দিল্লি পুলিশ স্বাধীনতা দিবসে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা জোরদার করেছে। কাউন্টার-ড্রোন সিস্টেম, ১০ হাজারেরও বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে রাজধানী জুড়ে।
পুষ্প বৃষ্টি
দুটি MI-17 1V হেলিকপ্টার ফুলের পাপড়ি বর্ষণ করবে। এই পুষ্প বৃষ্টির সময় ‘অমৃত ফর্মেশনে’ থাকবে হেলিকপ্টরগুলি। এই ফর্মেশনে ১২৯ হেলিকপ্টার ইউনিটের নুব্রা ওয়ারিয়র্স থাকবে। এর নেতৃত্বে থাকবেন উইং কমান্ডার আনন্দ বিনায়ক আগাশে। দ্বিতীয় হেলিকপ্টারে থাকবেন উইং কমান্ডার নিখিল মেহরোত্রে। লাইন অ্যাস্টার্ন ফর্মেশনে দুটি Mi-17 অনুসরণ করে ১১১ হেলিকপ্টার ইউনিট থেকে দুটি ধ্রুব হেলিকপ্টার থাকবে। যার নাম ' দ্য স্নো টাইগারস'। এই ফর্মেশনের নেতৃত্ব দেবেন উইং কমান্ডার অভিজিৎ কুমার এবং দ্বিতীয় হেলিকপ্টারে থাকবেন উইং কমান্ডার কে এস বিশাল।
‘রাষ্ট্রীয় স্যালুট’
২০ সদস্যের বিমান বাহিনীর ব্যান্ড লাল কেল্লায় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে ‘রাষ্ট্রীয় স্যালুট’ উপস্থাপন করবে।
উপস্থিত থাকবেন তিন বাহিনীর প্রধানরা
সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরীও উপস্থিত থাকবেন আজকের অনুষ্ঠানে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে ‘গার্ড অফ অনার’
জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে ‘গার্ড অফ অনার’ থাকবে। এতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বায়ুসেনা, দিল্লি পুলিশের অন্তত একজন করে অফিসার থাকবেন। মোট ২০ জন থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে যাদের
এবারের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, রাস্তার খুচরো বিক্রেতা, মুদ্রা প্রকল্পের ঋণগ্রহীতা এবং শ্মশান কর্মীদের। স্বাধীনতা দিবসের উদযাপনে তাঁদের ভূমিকা চিহ্নিত করার জন্য এই বিশেষ আমন্ত্রণ।
মোদীকে স্বাগত জানাবেন রাজনাথ
এরপর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট এবং প্রতিরক্ষা সচিব ডঃ অজয় কুমার লাল কেল্লায় পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে স্বাগত জানাবেন।
২১ তোপের সালামি
আজ প্রথমে, লাল কেল্লায় আনুষ্ঠানিক ২১ তোপের স্যালুট দেওয়া হবে। দেশে তৈরি অ্যাডভান্সড টোয়েড আর্টিলারি গান সিস্টেম ব্যবহার করা হবে এর জন্য। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, ডিআরডিও-র তৈরি এই কামান ‘দেশীয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরির ক্ষেত্রে ভারতের ক্রমবর্ধমান ক্ষমতার একটি প্রমাণ।’