ভারতে প্রায় ৭৬ শতাংশ করোনাভাইরাস আক্রান্তের বিভিন্ন কো-মর্বিডিটি আছে। আর সবথেকে বেশি রোগী উচ্চ রক্তচাপ (৫.৭৪ শতাংশ) এবং ডায়াবেটিসে (৫.২ শতাংশ) ভুগছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিশ্লেষণে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
করোনা রোগীদের কো-মর্বিডিটির মধ্যে আছে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অ্যাসমা, মূত্রনালীর সমস্যা (ক্রনিক রেনাল ডিজিজ), ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি), কম প্রতিরোধ ক্ষমতা, ব্রঙ্কাইটিস-সহ অন্যান্য।
গত সোমবার বয়সভিত্তিক যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছিল, সেই অনুযায়ী প্রায় ৬৩ শতাংশ করোনা আক্রান্তের বয়স ৪০ বা তার কম। মাত্র ১০ শতাংশ করোনা রোগীর বয়স ৬০ বা তার উর্ধ্বে।
বয়সভিত্তিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, বিশ্বের অন্যান্য মতো ভারতেও কম বয়সিদের ক্ষেত্রে সংক্রমণের ধরণে অসাম্য আছে। অর্থাৎ কম বয়সিদের ক্ষেত্রে কারোর কারোর পরিস্থিতি জটিল হয়ে যায়, কারোর কারোর উপর আবার সংক্রমণের প্রভাব বেশি হয় না। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে করোনার প্রভাব গুরুতর হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে করোনার মূল উপসর্গগুলিও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ৩৭,০৮৪ জন করোনা আক্রান্তের তথ্য বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২৫.০৩ শতাংশ রোগীর জ্বর, ১৬.৩৬ শতাংশের কাশি ছিল। ৭.৩৫ শতাংশ করোনা আক্রান্তের গলা ব্যথাও হয়েছিল। শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন ৫.১১ শতাংশ রোগী। এছাড়া মোট আক্রান্তদের নিরিখে ৬৮.৪৮ শতাংশ পুরুষ ও ৩১.৫১ শতাংশ মহিলা রোগী ।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল আটটা পর্যন্ত ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫,৭৩২,৫১৮। তাঁদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬,৫০৮ জন। আর মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯১,১৪৯। তা সত্ত্বেও আশাব্যঞ্জক ছবি হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় নয়া সংক্রমিতের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা (৮৭,৩৭৪) বেশি। তবে শুধু বৃহস্পতিবার নয়, টানা ছ'দিন দেশে নয়া আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা বেশি থাকছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। তার জেরে এখনও পর্যন্ত দেশে করোনাকে হারিয়ে দিয়েছেন মোট ৪,৬৭৪,৯৮৭ জন। যা মোট আক্রান্তের নিরিখে ৮১.৫৫ শতাংশ।