কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিক পদে 'ল্যাটারাল এন্ট্রির' মাধ্যমে নিয়োগের নির্দেশিকা জারি হয়েছিল কয়েকদিন আগে। তবে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হল। মোট ৪৫ জন আধিকারিককে নিয়োগের সেই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। তাতে অবশ্য কোনও সংরক্ষণের উল্লেখ ছিল না। এই আবহে রাহুল গান্ধী সরব হয়েছিলেন এই ধরনের নিয়োগের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে বিজেপির জোটসঙ্গী লোক জনশক্তি পার্টিও দাবি তোলে, সংরক্ষণ ছাড়া কোনও সরকারি পদে নিয়োগ করা যাবে না। এই আবহে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেই নিয়োগ বিজ্ঞাপন বাতিল করার বিষয়ে ইউপিএসসি চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখেছেন ডিওপিটি মন্ত্রী। (আরও পড়ুন: '১৪ তারিখে পালিয়ে যাওয়া' পুলিশ নয়, আরজি করের নিরাপত্তায় এবার CISF, নির্দেশ SC-র)
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে CBI-কে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলল SC, রিপোর্ট তলব রাজ্যের থেকেও
উল্লেখ্য, এর আগে গত শনিবারই কেন্দ্রীয় সরকারের যুগ্ম-সচিব ও অধিকর্তা পদে ৪৫ জনকে সরাসরি নিয়োগের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছিল ইউপিএসসি। এরপরই রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, সরকারের উচ্চপদে আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের নিয়োগ করার জন্যেই এই ভাবে নিয়োগ করা হচ্ছে। এই সব পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে আসন সংরক্ষণ না থাকা নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন রাহুল গান্ধী। এদিকে মোদী সরকার যুক্তি দিয়েছিল, কর্পোরেট বা শিক্ষা জগৎ থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের জন্যই এই ভাবে নিয়োগ করতে চেয়েছে সরকার। তাঁরা মনমোহন সিংয়ের উদাহরণ তুলে ধরেন। তাঁকেও 'ল্যাটারাল এন্ট্রি'র মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছিল সরকারি পদে। এদিকে রাহুলের পাশাপাশি গতকাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ানও এই সংরক্ষণ বিহীন ল্যাটারাল এন্ট্রির বিরোধিতা করেন। এরপরই আজ তা বাতিল করে দেওয়া হল। (আরও পড়ুন: RG কাণ্ডের জেরে জাতীয় টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ,চিকিৎসকদের কাজে ফেরার অনুরোধ SC-র)
আরও পড়ুন: বিকেলে বলা হল খুন, তাহলে FIR রাত ১১টা ৪৫-এ কেন? আরজি কর নিয়ে প্রশ্ন SC-র
আরও পড়ুন: একজনই দোষী? এমনই কি বলা হয়েছে আরজি কর কাণ্ডের ময়নাতদন্তে রিপোর্টে?
এর আগে সরকারের ল্যাটারাল এন্ট্রির বিরোধিতা করে রাহুল গান্ধীর সেবির উদাহরণ তুলে ধরেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, কর্পোরেট থেকে নিয়ে আস কয়েকজন প্রতিনিধি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে বসে কী কেরামতি দেখাতে পারেন, তার জ্বলন্ত উদাহরণ সেবি। যেখানে বেসরকারি ক্ষেত্র থেকে আসা কাউকে প্রথম বার চেয়ারপার্সন হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। রাহুল গান্ধীর অভিযোগ ছিল, ইউপিএসসি-র জায়গায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের মাধ্যমে নিয়োগ করে সংবিধানের উপরে আক্রমণ করতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী। এদিকে আমলাতন্ত্রে শীর্ষপদে দলিত, সংখ্যালঘু এবং তফশিলি জাতি বা উপজাতির আধিক্য নেই। আর এই ৪৫ জন আমলা নিয়োগ করে পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে আরও বঞ্চিত করার চেষ্টা চলছে বলে কেন্দ্রের দিকে তোপ দেগেছিলেন রাহুল। আর তাঁর সেই আক্রমণে সুর মেলান বিজেপিরই জোটসঙ্গী চিরাগ পাসওয়ান। এই আবহে পিছু হটতে বাধ্য হল কেন্দ্রীয় সরকার।