ক্রমশ বাড়ছিল ক্ষোভের মাত্রা। সেই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের তিন শতাংশ মহার্ঘভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ত্রিপুরা সরকার। একইসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী তথা পেনশনভোগীদের তিন শতাংশ ‘ডিয়ারনেস রিলিফ (ডিআর)’ প্রদান করা হবে। বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছেন ত্রিপুরার আইনমন্ত্রী রতনলাল নাথ।
আগামী ১ মার্চ থেকে সেই মহার্ঘভাতা কার্যকর হবে। ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই প্রথম রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ভাতার (অ্যালোয়েন্স) ঘোষণা করেছে বিজেপি-আইপিএফটি সরকার। তার ফলে রাজ্যের কোষাগার থেকে ৩২০ কোটি টাকা খরচ হবে। এমনিতে রাজ্যে ১১০,৫১৭ নিয়মিত সরকারি কর্মচারী, ৬৭,৮০৯ পেনশনভোগী এবং ১২,০০০ চুক্তিভিত্তিক কর্মী আছেন।
রতনলাল বলেন, ‘আমাদের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয় এবং পূর্ববর্তী সরকার আমাদের উপর বড়সড় আর্থিক বোঝা চাপিয়ে দিয়ে গিয়েছে। ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর নয়া বেতনক্রম কার্যকর হলেও আর্থিক টানাটানির জন্য আমরা ভাতা দিতে পারিনি। করোনাভাইরাস মহামারীর সময় দেশের মধ্যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ভাতা প্রদান করেছে।’
তবে বিজেপি-শাসিত রাজ্যের আইনমন্ত্রীর মুখে তৃণমূল সরকার-শাসিত পশ্চিমবঙ্গের প্রশংসা শোনা যাওয়ায় রীতিমতো অবাক হয়েছেন অনেকে। বিশেষত বিধানসভা নির্বাচনের আগে ত্রিপুরার উদাহরণ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের প্রতি যে ‘বঞ্চনা’ হচ্ছে, তা সুরাহা করার আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন খোদ নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা। যদিও রাজনৈতিক মহলের মতে, ঘরোয়া রাজনীতির লক্ষ্যেই পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন ত্রিপুরার আইনমন্ত্রী। বিষয়টি একটি অংশের তরফে প্রশংসা হিসেবে দেখা হলেও বকেয়া মহার্ঘভাতা অস্ত্রে তৃণমূল সরকারকে বিঁধতে পারবে বিজেপি। সঙ্গে সপ্তম বেতন কমিশন নিয়েও সুর চড়াতে পারবেন গেরুয়া শিবিরের নেতা।