করোনা পরিস্থিতিতে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্র সরকার ও সরকারি কর্মী সংগঠনগুলির বৈঠক। বকেয়া ডিএ ও ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার তারিখ পিছিয়ে মে মাসের অন্তিম সপ্তাহে করে দেওয়া হয়েছিল। তবে, করোনা পরিস্থিতি জারি থাকায় মে পেরিয়ে জুন এসে গেলেও এখনও হয়নি সেই বৈঠক।
মহার্ঘ্য ভাতা আগামী ১ জুলাই থেকে মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে গত মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল। তবে বকেয়া ডিএ-এর শেষ তিনটি কিস্তির (1-1-2020, 1-7-2020, এবং 1-1-2021) সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছুই বলা হয়নি। ফলে এটি কেন্দ্রীয় কর্মীদের পক্ষে বেশ উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহার্ঘ্য ভাতা আবারও চালু হওয়ার পরে কেন্দ্রীয় কর্মীদের বেতন এক লাফে অনেকটাই বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে সুবিধা পাবেন পেনশনভোগীরাও। ফলে, এই নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে সরকারি কর্মীদের সংগঠন।
ন্যাশনাল কাউন্সিল অব জেসিএম, ব্যক্তিগত ও প্রশিক্ষণ অধিদফতর এবং অর্থ মন্ত্রকের কর্মকর্তারা সপ্তম বেতন কমিশন সম্পর্কিত সমস্যার বিষয়ে কর্মীদের মতামত গ্রহণ করেছেন। গত ৮ মে কর্মী সংগঠনের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হবে বলে স্থির হয়। কিন্তু করোনার কারণে বৈঠক মে মাসের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু, করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ জারি থাকায় সেই সময়সূচীর আবারও পরিবর্তন। তবে, জুন মাসেই বৈঠক হতে পারে বলে আশা করছে ন্যাশানাল কাউন্সিল অব জেসিএম।
দিল্লির করোনা পরিস্থিতি, লকডাউন ইত্যাদি কারণেই পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বৈঠক। এই সমস্যার সুরাহা হলে দেশের ৫২ লক্ষ কর্মচারী সুবিধা লাভ করবেন। পাশাপাশি ৬০ লক্ষ পেনশনভোক্তারাও এই সুবিধা পাবেন।
েন।