যেসব কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়তে চলেছে, তাঁদের বকেয়া ডিয়ারনেস অ্যালাওয়েন্স নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে শনিবার এক বৈঠক ডেকেছে সরকার। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক, ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ জয়েন্ট কনসাল্টেটিভ মেশিনারি এবং ব্যক্তি-প্রশিক্ষণ দফর এই বৈঠকে বসে বকেয়া ডিএ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে জয়েন্ট কনসাল্টেটিভ মেশিনারির সচিব (স্টাফ সাইড) শিব গোপা মিশ্র বলেন, 'আজকের বৈঠকের নেতৃত্বে থাকবেন কেন্দ্রীয় সরকারের ক্যাবিনেট সচিব।'
উল্লেখ্য, গত দেড় বছর ধরে বর্ধিত মহার্ঘভাতা বা ডিএ পাননি সরকরি কর্মীরা। এই আবহে আজকের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী ১ জুলাই থেকে ডিএ, ডিআর, ট্রাভেল অ্যালোয়েন্স এবং ন্যাশনাল পেনশন স্কিম ও হাউস বিল্ডিং অ্যাডভান্সের মতো প্রকল্পে সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে পারে কেন্দ্র। এর আগে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে তিন দফায় ১১ শতাংশ ডিএ বাড়ানো হলেও তা পাননি কর্মীরা। তবে ১ জুলাই থেকে ডিএ চালু হলে কি বকেয়া বর্ধিত ডিএ মিলবে, সেই সিদ্ধান্ত নিতেই এদিন বৈঠকে বেতন কমিশন।
আপাতত ১৭ শতাংশ হারে ডিএ পান কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। ডিএ ফের চালু হওয়ার পর তা বেড়ে দাঁড়াবে ২৮ শতাংশ। অর্থাৎ মাসিক ডিএ ১১ শতাংশ বাড়বে। নয়া হারে ডিএ বা ডিআর প্রদানের বিষয়টি কার্যকর হওয়ার পর বেতন বা পেনশন কত হবে? ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ জেসিএমের সচিব শিবপ্রকাশ মিশ্র জানিয়েছেন, এখন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী যে বেতন এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা যে পেনশন পান, তার ভিত্তিতেই হিসাব করলেই মিলবে নয়া বেতন বা পেনশনের অঙ্ক। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর বেসিক স্যালারির উপর ২৮ শতাংশ হারে পাওয়া যাবে ডিএ।