জানুয়ারিতেই অষ্টম বেতন কমিশনে অনুমোদন দিয়েছিল মোদীর নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট। এই আবহে কমিশন গঠনের দিনক্ষণ নিয়ে সরকারি কর্মীদের মনে তীব্র কৌতুহল। এহেন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে এক্সপেন্ডিচার সেক্রেটারি মনোজ গোভিল বললেন, '২০২৬ সালের এপ্রিল থেকে অষ্টম বেতন কমিশন কার্যকর হওয়ার কথা। তার আগে কমিশন গঠন হবে, সরকার সব অনুমোদন করবে।' তিনি দাবি করেন, ২০২৫ সালের এপ্রিলেই কমিশন গঠন করা হতে পারে। এই আবহে এবার ইকনমিক টাইমসের রিপোর্টে দাবি করা হল, হয়ত ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে হয়ত কার্যকর হবে না অষ্টম বেতন কমিশন। (আরও পড়ুন: 'এটা একটা ফেজ...', ভারতে এসে মোদী সরকারের 'প্রশংসা' বাংলাদেশি উপদেষ্টার গলায়)
আরও পড়ুন: মোদীর সঙ্গে বৈঠকে সুন্দর পিচাই, আলোচনা 'ভারতের ডিজিটাল রূপান্তর' নিয়ে
উল্লেখ্য, মনোজ গোভিল আরও বলেন, 'আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, ডিওপিটি (কর্মী ও প্রশিক্ষণ বিভাগ) থেকে টার্মস অফ রেফারেন্স নিয়ে মতামত চেয়েছি। আমরা একবার তাঁদের মতামত জানতে পারলে টার্ম সঅফ রেফারেন্স ড্রাফট করা হবে। এরপর ক্যাবিনেটের কাছে এর জন্যে অনুমোদন চাওয়া হবে।' উল্লেখ্য, সাধারণত মার্চ মাসে হোলির আগে ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করে সরকার। এরপরে নয়া পে কমিশন গঠন ও হয়ে যেতে পারে। উল্লেখ্য, অষ্টম বেতন কমিশনের অধীনে কেন্দ্রীয় কর্মীদের বেতন, পেনশন এবং অন্যান্য সুবিধা কীসের ভিত্তিতে ঠিক করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা করতে ১০ ফেব্রুয়ারি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর জয়েন্ট কনসালটেটিভ মেশিনারি (এনসি জেসিএম)-এর স্থায়ী কমিটির স্টাফদের সাথে কর্মী ও প্রশিক্ষণ বিভাগ (ডিওপিটি) এই বৈঠকটি ডেকেছিল। (আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের SOP মানা হয়েছিল EVM পরীক্ষা নিয়ে? জবাব তলব নির্বাচন কমিশনের থেকে)
আরও পড়ুন: HAL-এর ওপর ঠিক ভরসা করতে পারছি না, তেজস হাতে পাওয়া নিয়ে মন্তব্য IAF প্রধানের
অষ্টম বেতন কমিশনের টার্মস অফ রেফারেন্স নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হয় বলে জানা যায় রিপোর্টে। এনসি-জেসিএম অষ্টম বেতন কমিশনের বিষয়ে সরকারের কাছে নানা পরামর্শ এবং প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। ১০ ফেব্রুয়ারি সরকারের সঙ্গে বৈঠকের আগে সংগঠনটি একটি অভ্যন্তরীণ বৈঠকও করে। সেই বৈঠকে এই সংক্রান্ত এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হয়। সরকারের কাছে পাঠানো প্রস্তাবে বেতন কাঠামো, অবসরকালীন সুবিধা, মর্যাদাপূর্ণ জীবন মজুরির নীতি এবং সপ্তম বেতন কমিশনে থাকা ত্রুটিগুলি দূর করার দাবি করেছিল জেসিএম। এছাড়া বিভিন্ন বেতন স্কেল একীভূতকরণ এবং পারিবারিক পেনশন পরিবর্তনের দাবিও উত্থাপন করা হয় তাতে। এরই সঙ্গে ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে পুরনো নিয়ম পুনরায় চালুর দাবিও জানানো হয়েছিল।
আর্থিক ইনসেন্টিভ প্রদান ছাড়াও, রেলওয়ে কর্মচারী এবং প্রতিরক্ষা বেসামরিক কর্মচারীরা দায়িত্ব পালনের সময় যে চ্যালেঞ্জগুলির সম্মুখীন হয়, সেগুলি মাথায় রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে সরকারের কাছে। এই আবহে প্রস্তাবে বলা হয়, অস্ত্র, রাসায়নিক, গানপাউডার, অ্যাসিড তৈরিতে কাজ করেন, এমন প্রতিরক্ষা বেসামরিক কর্মচারীদের বিপদ বুঝতে হবে এবং তাদের বিশেষ ঝুঁকি ভাতা, বীমা কভার, ক্ষতিপূরণ ইত্যাদি দিতে হবে।