Indian Railways Salary: কর্মীদের পেছনে খরচ কমাতে চাইছে ভারতীয় রেলও। সম্প্রতি কর্মীদের ভাতায় খরচে রাশ টানতে উদ্যোগী হয়েছেন শীর্ষ আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই রেল বোর্ড তার সাতটি অঞ্চলে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। তাতে ওভারটাইম, নাইট ডিউটিও ভ্রমণ, জ্বালানি ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রদত্ত কর্মচারী ভাতায় ব্যয়ের পরিমাণ পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছে। সূত্র উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।
রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে ত্রিপাঠীর পৌরহিত্যে একটি ত্রৈমাসিক পর্যালোচনা সভা হয়েছিল। তাতে দেখা যায়, মে মাস পর্যন্ত চলতি অর্থবর্ষে সাধারণ কাজে ব্যয় (OWE) বৃদ্ধি পেয়েছে। মোট সাতটি অঞ্চলে আগের বছরের তুলনায় গড়ে প্রায় ২৬% ব্যয় বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের (৩৭.৯%)।
এ বিষয়ে পিটিআইয়ের প্রশ্নের জবাবে, রেল জানিয়েছে বাজেটের অনুযায়ী ২০২২-২৩-এর জন্য মোট 'ওয়ার্কিং এক্সপেন্স' বা কাজের ব্যয় ২.৩২ লক্ষ কোটি টাকা। তবে, যেহেতু অ্যাকাউন্টগুলি এখনও অডিট করা হয়নি, তাই আপাতত পরিসংখ্যানগুলি আনুমানিক হিসাবে ধরা হচ্ছে।
রেল আরও জানায়, তারা অর্থ মন্ত্রকের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যয় নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও কঠোর অর্থনৈতিক নীতি প্রয়োগ করা হচ্ছে। তাছাড়াও জ্বালানি খরচ যতটা সম্ভব কমানোর চেষ্টা করছে রেল।
বৈঠকের, রেল বোর্ড সংশ্লিষ্ট জোনগুলিকে তাদের ব্যয় কমাতে 'অবিলম্বে পদক্ষেপ' নেওয়ার নির্দেশ দেয়। সংশ্লিষ্ট জেনারেল ম্যানেজারদের এর জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছে। পূর্ব রেল, দক্ষিণ রেল, উত্তর-পূর্ব রেল এবং উত্তর রেলের মতো জোনগুলিকে যে ভাতা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, তা নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে। এটি সাধারণ ট্রেন চালনাকারী কর্মীদের দেওয়া হয়।
অন্যদিকে দক্ষিণ-পূর্ব মধ্য রেল (SECR), পূর্ব-মধ্য রেল (ECR) এবং পূর্ব উপকূলীয় রেল (ECOR)-কে তাদের নাইট ডিউটিভাতায় ব্যয় কমাতে বলা হয়েছে।
তবে রেল এটাও জানিয়েছে যে, অ্যাকাউন্টগুলি এখনও অডিট করা বাকি। তাই এই পরিসংখ্যানগুলি অস্থায়ী। কোভিড মহামারীর সময়ে খরচ বাড়ার কারণে কাজের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা পরিস্থিতির তুলনায় এখন অনেক বেশি যাত্রী যাতায়াত করছেন। বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা এবং সহায়ক পরিষেবার ক্ষেত্রে তাই আরও বেশি ব্যয় হচ্ছে। এমনকী মালবাহী ট্রেনের ক্ষেত্রেও লোডিং বেড়েছে। তাই আরও ভাল এবং নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন। ফলে সেদিকেও খরচ বেড়েছে।