আজ (১ এপ্রিল) থেকে চালু হচ্ছে না নয়া শ্রমবিধি। তার জেরে নয়া অর্থবর্ষের প্রথমদিন থেকে কমছে না ‘টেক হোম স্যালারি’ বা হাতে পাওয়া বেতনের পরিমাণ। কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকক উদ্ধৃত করে ইকোনমিক্স টাইমস জানিয়েছে, আপাতত শ্রমবিধি কার্যকর হচ্ছে না। তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এমনিতে নয়া অর্থবর্ষের প্রথমদিন থেকে চারটি শ্রমবিধি (মজুরি বিধি, শিল্পকাজের ক্ষেত্রে সুরক্ষা বিধি, স্বাস্থ্য ও কাজের পরিবেশের বিধি এবং সামাজিক সুরক্ষা বিধি) কার্যকর হতে পারে বলে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছিল। সেই নয়া শ্রমবিধি কার্যকর হলে কর্মচারীদের মাসিক প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্র্যাচুইটির পরিমাণে হেরফের হতে পারে। কারণ সেই শ্রমবিধির আওতায় কোনও কর্মীর সর্বমোট মাসিক বেতনের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ হতে হবে মূল বেতন (বেসিক স্যালারি)। অর্থাৎ নয়া শ্রমবিধি যদি কার্যকর হয়, তাহলে কর্মচারীদের মাসিক ভাতা (অ্যালোয়েন্স) ৫০ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। সেই ৫০ শতাংশের মধ্যে ট্র্যাভেল অ্যালোয়েন্স, হাউজ রেন্ট, ওভারটাইমের মতো-যাবতীয় ভাতা (অ্যালোয়েন্স) দিতে হবে। তার ফলে কর্মীদের সিটিসি বা ‘কস্ট টু কোম্পানি’-এর (যে টাকায় চুক্তি হচ্ছে) কাঠামো পরিবর্তন করতে হবে। বেতন সংক্রান্ত শ্রমবিধিতে ‘মজুরি’-র সংজ্ঞা অনুযায়ী, তিনটি বিষয় থাকবে - বেসিক পে (মূল বেতন, মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সেটির যোগ থাকবে), মহার্ঘভাতা (ডিয়ারনেস অ্যালোয়েন্স বা ডিএ) এবং রিটেনশন পেমেন্ট।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নয়া শ্রমবিধির ফলে সামাজিক সুরক্ষার খাতে যে অর্থ দেওয়া হয়, তার পরিমাণ বাড়বে। তাতে ভবিষ্যতে সুবিধা হবে। কিন্তু তার ফলে ‘টেক হোম স্যালারি’-র পরিমাণ কমতে পারে। কারণ মূল বেতন (বেসিক স্যালারি) বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় সংস্থাগুলি প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্র্যাচুইটির মাধ্যমে বর্ধিত ব্যয় বহন করতে পারে। তবে ‘টেক হোম স্যালারি’ কমবে নাকি বাড়বে, সে বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে এখনও পর্যন্ত স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি।