তিন দফার ডিয়ারেনস অ্যালোয়েন্স (ডিএ) ও ডিয়ারেনস রিলিফ (ডিআর) স্থগিত রাখা হয়েছিল। অবশেষে মাসকয়েক আগে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ ১১ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু ‘এরিয়ার’ বা বকেয়া অর্থ মেলেনি। সেই বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি লিখল ভারতীয় পেনশনার্স মঞ্চ (বিএমএস)।
মোদীকে লেখা চিঠিতে বিএমএসের তরফে জানানো হয়েছে, যখন তিন দফার (গত বছরের জানুয়ারি ও জুলাই এবং চলতি বছরের জানুয়ারি) ডিএ বা ডিআর স্থগিত রাখা হয়েছিল, তখন নিত্যপ্রয়োজনীয জিনিসের দাম ক্রমশ বেড়েছে। জ্বালানি তেল, বিভিন্ন ধরনের ডাল, ভোজ্য তেলের দাম রেকর্ড স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। সেই বর্ধিত দামের সঙ্গে যাতে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা খাপ খাইয়ে নিতে পারেন, সেজন্য ডিএ ও ডিআর তো দেওয়া হয়। সেই পরিস্থিতিতে তিন দফার ডিএ ও ডিআরের বকেয়া টাকা না দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র, তা মোটেও প্রশংসনীয় নয়। সেজন্য দ্রুত ‘এরিয়ার’ মিটিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, 'করোনাভাইরাসের কারণে দেশ যে আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু অধিকাংশ পেনশনভোগী একদিনের পেনশন প্রধানমন্ত্রী কেয়ার্স ফান্ডে দান করেছেন।'
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে তিন দফায় ডিএ ও ডিআর স্থগিত থাকলেও মাসকয়েক আগেই ১১ শতাংশ বাড়িয়েছে কেন্দ্র। তার ফলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ২৮ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন। তার ফলে লাভবান হয়েছেন ৪৮ লাখ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং ৬৫ লাখ পেনশনভোগী। যদিও ‘এরিয়ার’ না পাওয়ার অনেকের মনেই ক্ষোভ আছে। তারইমধ্যে একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, উৎসবের মরশুম শুরুর আগে আরও তিন শতাংশ বাড়তে পারে মহার্ঘ ভাতা।