প্রযুক্তির সহজলোভ্যতার কারণে মানুষের মধ্যে কিছু প্রবনতারও জন্ম হয়েছে। সেই প্রবণতাগুলির মধ্যে যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, তা হল, প্রায় সমন্ত ঘটনার ভিডিয়ো করে তা সরাসরি সবাইকে দেখানো। এই প্রবণতারই ভয়াবহ পরিণতির সাক্ষী থাকল বাংলাদেশের চট্টগ্রামের ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড।
বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত শনিবার বাংলাদেশ স্থানীয় সময় চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের কন্টেনার ডিপোতে যে অগ্নিকাণ্ড হয়, তার ফেসবুক লাইভ করতে গিয়ে মৃত্যু হয় ৮ জনের।
এই বিস্ফোরণের লাইভ দৃশ্য সবার আগে সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরেন ওই কন্টেনার ডিপোর শ্রমিক আলিউর রহমান। মোট ৪৫ মিনিট ছিল তাঁর লাইভ। বিস্ফোরণ হয় ৪১ মিনিটের মাথায়। এই বিস্ফোরণেই প্রাণ হারান আলিউর। জানিয়েছে উদ্ধারকার্যে আসা পুলিশ বাহিনী।
একইভাবে মর্মান্তিক পরিণতির শিকার হন ডিপোর শিফট ইনচার্জ ২৯ বছর বয়সি শাহাদাত উল্যা মজুমদার। কাজ শেষ করে তিনি ডিপোর পাশের একটি বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। আগুন লাগার কথা শুনে ডিপোতে গিয়ে প্রথমে স্ত্রীকে ভিডিও কলে আগুনের ছবি দেখান। এরপর আগুনের দৃশ্য বাবাকে দেখানোর সময়ই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
আরও ৬জন মানুষের এই অগ্নিকান্ডের লাইভ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়। কিন্তু এখনও নিখোঁজ ৫ জন,জানা গিয়েছে বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে।
গত শনিবারের এই অগ্নিকান্ডে এখনও পর্যন্ত ৪১জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন সমাজতত্ত্ববিদ ও মনস্তত্ত্ববিদরা। তাঁদের মতে প্রযুক্তির সঠিক ও নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন ব্যাপক সামাজিক ও পারিবারিক সচেতনতা ।না হলে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে।