যেকোনও বয়সেই যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল কর্ণাটকের একটি ঘটনা। স্কুলের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল ৮ বছর বয়সি এক ছাত্রীর। তার নাম তেজস্বিনী। কর্ণাটকের চামরাজানগরের সেন্ট ফ্রান্সিস স্কুলের ছাত্রী ছিল সে। সোমবার স্কুল ক্যাম্পাসেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয় ছাত্রীটি। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: হৃদরোগ ছিল স্ত্রীর, দেখভালে স্বেচ্ছাবসর স্বামীর, অফিসে শেষ দিনেই মৃত্যু মহিলার
রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃত তেজস্বিনী চামরাজানগর তালুকের বদনাগুপ্পে গ্রামের শ্রুতি ও লিঙ্গারাজুর মেয়ে। এদিন স্কুলের মধ্যেই ছাত্রীটি মাথা ঘোরা অনুভব করে। পরে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে এবং সহপাঠীদের সঙ্গে থাকার সময় স্কুল ক্যাম্পাসে পড়ে যায়। স্কুলের কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটিকে উদ্ধার করে জেএসএস হাসপাতালে নিয়ে যান। যদিও হাসপাতালের তরফে সব রকমের চিকিৎসা প্রদান করা হয় তবে মেয়েটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিকিৎসকরা জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তার মৃত্যু হয়েছে। এই খবর পাওয়ার পর ব্লক শিক্ষা আধিকারিক হনুমন্ত শেট্টি স্কুল পরিদর্শন করেন। তিনি কর্মীদের এবং পড়ুয়াদের কাছ থেকে তেজস্বিনীর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন।
স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল ফাদার প্রভাকরণ ছাত্রীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, তেজস্বিনী স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। এদিক সকাল ১১.৪০ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। শিশুটি একটি দেওয়ালে হেলান দিয়েছিল। শেষে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। অধ্যক্ষ জানান, মেয়েটি আগে স্কুলে কোনও স্বাস্থ্যগত পরিবর্তন বা সমস্যায় ভোগেনি। ছাত্রীর বাবা লিঙ্গারাজু এই ঘটনায় শোকে কাতর হয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর মেয়ের জ্বর এবং মাথাব্যথা ছাড়া কখনই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা ধরা পড়েনি। তাকে কখনও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি।
তবে এই ঘটনায় অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কি না তা জানার জন্য চিকিৎসকরা ময়নাতদন্ত করতে চাইলে তা করতে অস্বীকার করেন মেয়েটির বাবা। এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কি না সেবিষয়ে সন্দেহ নেই বলে জানান। ফলে দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। এমন মর্মান্তিক শোকের ছায়া নেমেছে অন্যান্য অভিভাবকদের মধ্যেও।