‘আন্তরিক ও বাস্তবিক মিলমিশ’ রাশিয়া ইউক্রেনকে শান্তির দিকে নিতে পারে! মনে করা ভারত। উল্লেখ্য, রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধ নিয়ে সুৎজারল্যান্ডে বসেছিল শান্তি সম্মেলন। সেখানে ৯০ এর বেশি দেশ যোগ দিয়েছিল। ৮০ টি দেশ সংঘবদ্ধভাবে সম্মত হয়েছে যে, ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ধরে রেখে তবে শান্তি সমঝোতা হতে পারে রাশিয়ার যুদ্ধ শেষ করতে। তবে এই সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর নেই ভারতের। সুইৎজারল্যান্ডে আয়োজিত সম্মেলনের উদ্বোধন ও সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিল ভারত। রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা ভারতের এই ৮০ দেশের সম্মতি ইস্যুতে কী বক্তব্য? তা নিয়ে দিল্লির স্পষ্ট করল অবস্থান।
ভারতের বিদেশমন্ত্রকের সেক্রেটারি (পশ্চিম) পবন কাপুর বলেছেন যে, ভারত শান্তি সম্মেলন থেকে উঠে আসা যৌথ ইশতেহার বা কোনও নথির সাথে নিজেকে যুক্ত করবে না। কারণ যে বিকল্পগুলি রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়ের পক্ষেই গ্রহণযোগ্য সেগুলিই স্থায়ী শান্তির দিকে পরিচালিত করতে পারে, বলে মনে করে ভারত। আর ভারত সেই অবস্থানে অনড় বলেই শান্তি সম্মেলন থেকে উঠে আসা কোনও নথির সঙ্গে নিজেকে সংযুক্ত করছে না ভারত। ইউক্রেনের শান্তির শীর্ষ সম্মেলনে রাশিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, যা ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির অনুরোধে বার্গেনস্টকের রিসোর্টে সুইজারল্যান্ড আয়োজিত হয়েছে। ইউক্রেন এবং বেশ কয়েকটি পশ্চিমী দেশ ভারতের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য বেশ কিছুটা উদ্যোগী হয়। প্রসঙ্গত, সদ্য ইতালিতে জি৭ সম্মেলনে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে তিনি সম্মেলনে অংশগ্রহণের পরই ইউরোপ থেকে ভারতে আসেন। তবে রাশিয়ার সঙ্গে সখ্যতার নিরিখে কূটনৈতিক আঙিনায় ভারত নিজের পোক্ত অবস্থান রাখতে চেয়েছ। এই শান্তি সম্মেলনে কোনও নথিতে ভারতের স্বাক্ষর যআতে না বোঝায় যে, ভারত, রাশিয়াকে তার স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার না মনে করে, সেদিকে খেয়াল রেখেছে দিল্লি।
বিদেশ মন্ত্রকের সচিব পবন কাপুর বলেন, আমাদের স্পষ্ট এবং ধারাবাহিক বার্তা হল শুধুমাত্র সংলাপ ও কূটনীতির মাধ্যমে স্থায়ী শান্তি অর্জিত হতে পারে। তিনি বলেন, আমরা অবিরত বিশ্বাস করি যে এই ধরনের শান্তির জন্য সমস্ত সংশ্লিষ্ট মহলকে একত্রিত করা এবং সংঘর্ষের জন্য দুই পক্ষের মধ্যে একটি আন্তরিক ও বাস্তব মিলমিশ প্রয়োজন। পবন কাপুর বলেন, যদিও ভারত ‘ইউক্রেনে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি অর্জনের জন্য সমস্ত আন্তরিক প্রচেষ্টা’ চালাবে। তিনি বলছেন, ভারত, সংঘর্ষে লিপ্ত সংশ্লিষ্ট মহল এবং দুই পক্ষের সাথে সংযোগ রাখবে, তবে দিল্লি, সুইৎজারল্যান্ডের শীর্ষ সম্মেলন থেকে উদ্ভূত কোনো যৌথ ঘোষণায় সায় দেওয়া থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।