দিল্লির নিজামুদ্দিন অঞ্চলে তবলিঘি মার্কাজ ধর্মীয় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কমপক্ষে ৮২৪ জন বিদেশি। জমায়েতের পরে ধর্মীয় শিক্ষা ও প্রচারের কাজে তাঁরা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছেন বলে জানাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই বিষয়ে সবিস্তারে খোঁজ নিতে গত ২১ মার্চ রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
সরকারি নথি বলছে, সমাবেশে উপস্থিত বিদেশিরা ভারতের অন্তত ১২টি রাজ্যে ভ্রমণ করেছেন। এর মধ্যে ১৩২ জন গিয়েছেন উত্তর প্রদেশে, ১২৫ জন তামিল নাডুতে, ১১৫ জন মহারাষ্ট্রে ও ১১৫ জন হরিয়ানায়। এ ছাড়া তেলেঙ্গানা, মধ্য প্রদেশ, কর্নাটক ও পশ্চিমবঙ্গেও বেশ কয়েক জন ভিনদেশি ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব প্রবেশ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই বিদেশিদের চিহ্নিত করে তাঁদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পরে কোয়ারেন্টাইনে রাখতে। তবে নির্দেশ দেওয়ার পরে এখনও পর্যন্ত কত জন বিদেশি ধর্ম প্রচারকের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, তা জানা যায়নি।
২১ মার্চের আগে, অর্থাৎ করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে দেশব্যাপী জনতা কারফিউ জারি হওয়ার আগের দিন বিদেশিরা নিজামুদ্দিন অঞ্চল ছেড়ে যান।
কেন্দ্রীয় নথিতে বলা হয়েছে, ‘মনে করা হচ্ছে, গত ১ জানুয়ারির পর থেকে তবলিঘ সংক্রান্ত কাজে কমপক্ষে ২,১০০ জন বিদেশি ভারত সফর করেছেন। তাঁদের মধ্যে ৮২৪ জন ২১ মার্চের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েন। প্রায় ২১৬ জন নিজামুদ্দিন মার্কজে বাস করছিলেন। অন্যরা লকডাউন ঘোষণা হওয়ার আগে দেশ ছেড়ে যান।’
ইতিমধ্যে দিললল্লির ছয়তলা নিজামুদ্দিন হস্টেল বসবাসকারী ৬ জন ধর্মীয় প্রচারকের নমুনায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রমাণ মিলেছে। এ ছাড়া তামিল নাডু ও তেলেঙ্গানাতেও এই সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আক্রান্তদের প্রায় সকলেই নিজামুদ্দিনের সমাবেশে উপস্থিত প্রচারকদের সংস্পর্শে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
সরকারি নথি অনুযায়ী, নিজামুদ্দিনের বাংলেওয়ালি মসজিদের তবলিঘ মার্কাজে এসেছিলেন ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, মায়ানমার, বাংলাদেশ, শ্রী লঙ্কা ও কিরঘিস্তান থেকে অতিথিরা। অই সমাবেশ থেকেই দেশের নানান প্রান্তে ধর্মীয় চিল্লা প্রচার আন্দোলন চালাতে তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়।