প্রবল ঝড়ের মধ্যে বাজ পড়ে বিহারে মারা গিয়েছেন ৮৩ জন, জখম হলেন আরও ৩০ জন। বৃহস্পতিবারের দুর্যোগে প্রাণ হারিয়েছে ১৫টির বেশি গবাদি পশুও।
বজ্রপাতের জেরে একই দিনে এমন বিপুল সংখ্যক মৃত্যুর নজির ভারতে বিশেষ পাওয়া যায় না। এ দিন নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে বিহারের এই মর্মান্তিক খবর জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিহারের পাঁচ জেলা মিলিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘বিহার ও উত্তর প্রদেশের কিছু জেলায় প্রবল বর্ষণ ও বজ্রাঘাতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে দ্রুত ত্রাণকাজ চালু করা হয়েছে। দুর্যোগে নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার গভূর সমবেদনা জানাই।’
বিহারের দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের প্রধান সচিব প্রত্যয় অমৃত জানিয়েছেন, ‘গোপালগঞ্জে ১৩ জন মারা গিয়েছেন, মধুবনিতে ৮ জন এবং সিওয়ান ও ভাগলপুরে ৬ জন করে, পূর্ব চম্পারণ, দ্বারভাঙা ও বাঁকাতে ৫ জন করে, খাগাড়িয়া ও ঔরঙ্গাবাদে ৩ জন করে, পশ্চিম চম্পারণ, কিষাণগঞ্জ, জেহানাবাদ, জামুই, পূর্ণিয়া, সুপাউল, বক্সার ও কাইমুরে দুই জন করে বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া একজন করে মারা গিয়েছেন সমস্তিপুর, শেওহর, সারন, সীতামাঢ়ি ও মাধেপুরায়।’
বজ্রপাতে মৃত্যুর কারণে গভীর শোক প্রকাশ করে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার নিহতদের পরিবারপিছু ৪ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে সতর্কতামূলক শর্তাবলী মেনে চলার জন্য রাজ্যবাসীর উদ্দেশে তিনি আবেদন জানিয়েছেন। গবাদি পশু মৃত্যুর কারণে লোকসানের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে বিহার প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, গোপালগঞ্জে নিহতরা সকলেই কৃষিজীবী এবং বরৌলি, মানঝা, বিজয়পুর, উচকাগাঁও ও কাটেয়া এলাকার বাসিন্দা। খেতে কাজ করার সময় তাঁরা বজ্রাহত হন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে গোটা এমার্জেন্সি বিভাগে জল ঢুকে যাওয়ায় চিকিৎসায় বিলম্ব হয় বলে জানা গিয়েছে। তার জেরে নিহতদের আত্মীয়রা হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান।
খাগাড়িয়াতেও খেতে কাজ করার সময় বাজ পড়ে এক মহিলার মৃত্যু হয় ও পাঁচটি শিশু জখম হয়। ঘটনায় তাঁদের সহ্গে থাকা ১৫টি গোরুর মৃত্যু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালেও বিহারে বাজ পড়ে বিহারে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।