প্রবল বৃষ্টিতে পাঁচিল ধসে তিনটি শুশু-সহ মোট ৯ জনের মৃত্যু হল পুরনো হায়দরাবাদ শহরে। আহত হয়েছেন আরও চারজন। পাঁচিলের নীচে ১০টি বাড়ি চাপা পড়ায় এই বিপদ দেখা দিয়েছে।
গত কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টির জেরে বানভাসি হায়দরাবাদ শহর ও সংলগ্ন অঞ্চল। মঙ্গলবার গভীর রাতে তারই জেরে পুরনো হায়দরাবাদ শহরে ভেঙে পড়ল বিশাল পাঁচিল। বুধবার সকালে চাপা পড়া কাঁচা বাড়িগুলি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৯টি দেহ। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
হায়দরাবাদের সাংসদ তথা AIMIM সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়াইসি টুইট করে জানিয়েছেন, এ দিন সকালে বান্দলাগুড়ার মহম্মদিয়া হিলস অঞ্চলের ওই দুর্ঘটনাস্থল তিনি গিয়ে সরেজমিনে দেখে এসেছেন।
ফলকনামার সহকারি পুলিশ কমিশনার এম এ ম জিদ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ ভেঙে পড়ে বিশাল ওই বেসরকারি পাঁচিলটি। ধ্বংসাবশেষ থেকে ছিটকে এসে কাঁচাবাড়ির উপরে আছড়ে পড়ে বিশাল পাথর ও কংক্রিটের চাঙড়। দুটিলবাড়িল একেবারে চূর্ণ হওয়ায় নয় জন বাসিন্দার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। অন্যান্য পরিবারের চার সদস্য গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের ভরতি করা হয়েছে ওয়াইসি হাসপাতালে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জিএইচএমসি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও স্থানীয় পুলিশ। উদ্ধারকাজে তাদের সঙ্গে যোগ দেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরাও।
গত ২৪ ঘণ্টায় হায়দরাবাদে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টার পরে বৃষ্টির বেগ বাড়লে শহরের একাধিক জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়ে ও যান চলাচল ব্যাহত হয়। সারা রাত ধরে বৃষ্টির মাত্রা একবারও নিস্তেজ হয়নি।
রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে, সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে হায়দরাবাদ শহরের উপকণ্ঠে সিঙ্গাপুর টাউনশিপে। গত ১২ ঘণ্টায় সেখানে বৃষ্টি হয়েছে ৩০.৬ সেমি। এ ছাড়া দক্ষিণ হস্তিনাপুরম এলাকায় রাচ ১টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ২৮.৩ সেমি। হায়দরাবাদের অন্যান্য এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে ১১.৫সেমি থেকে ২০.৫ সেমি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের মাঝখানে অবস্থিত হুসেন সাগর হ্রদের জলস্তর কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। লেকের জল উপচে বড়ে জলমগ্ন হয় বেশ কয়েকটি রাস্তা।