বেড়েই চলছে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত দুই সপ্তাহে ৮৯ শতাংশ কেস এসেছে নয় রাজ্য ও একটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল থেকে। সেই রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে এদিন বৈঠক করেন ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা। কেন্দ্রের তরফ থেকে এদিন বলা হয়েছে যে টেস্টিং বৃদ্ধি করা দরকার ও আরও ভালো ভাবে ট্রেসিং করা দরকার, যাতে সংক্রমণ রোখা যায়।
এদিন মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, তেলেঙ্গানা, গুজরাত, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব, অন্ধ্রপ্রদেশ ও জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে কথা বলেন রাজীব গৌবা ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব যে সব জেলায় মৃত্যুহার খুব বেশি, সেগুলির ওপর জোর দেন। টেস্টিং, কন্ট্যাাক্ট ট্রেসিং, কনটেনমেন্ট, হোম আইসোলেশন, সার্ভেলেন্স, হসপিটাল বেড, অক্সিজেন ও ট্রিটমেন্ট প্রোটোকল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বুধবার ভারতে করোনা কেসের সংখ্যা ৭৫ হাজারের বেশি ছিল, যা সারা বিশ্বে সর্বোচ্চ।
ক্যাবিনেট সচিব বলেছেন ঠিক ভাবে কনটেনমেন্ট, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং ও সার্ভেলেন্স করতে হবে রাজ্যদের। ৮০ শতাংশ নতুন কেসের ক্ষেত্রে ঘনিষ্ট কন্ট্যাক্টদের ট্রেসিং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করতে হবে, বলে কেন্দ্র জানিয়েছে। যে সব জেলায় হটস্পটে টেস্ট পজিটিভ রেট ৫ শতাংশের বেশি, সেখাবে প্রতি দশ লক্ষ মানুষে প্রতি দিন কম করে ১৪০ জনের টেস্ট করাতে হবে, বলে নির্দেশ কেন্দ্রের।
জনসমক্ষে বেডের সংখ্যা ও অ্যাম্বুলেন্স সম্পর্কিত তথ্য তুলে ধরতেও জানিয়েছে কেন্দ্র। রাজ্যরা জানিয়েছে করোনা রোধে তারা কী করছে, কোন কোন ক্ষেত্রে প্রতিকুলতা দেখা দিয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা কমানোর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কেসগুলির ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি রাখার কথা বলেছে কেন্দ্র।