মহাকুম্ভ তো সকলের জন্য। তথাকথিত পাপী তাপী থেকে পূণ্যলোভী মানুষ, সাধু সন্ত সকলের জন্যই তো মহাকুম্ভ। কিন্তু যারা জেলবন্দি রয়েছেন তারা কীভাবে এই মহাকুম্ভে স্নান করবেন? কীভাবে মহাকুম্ভের সঙ্গমের পূণ্য জলের স্পর্শ পাবেন?
উত্তরপ্রদেশ জেল প্রশাসন প্রয়াগরাজের সঙ্গম থেকে পবিত্র জল অন্তত ৭৫টি জেলে নিয়ে যাচ্ছে বলে খবর। মূল লক্ষ্য হল সংশোধনাগারের মধ্য়ে থেকেও তারা যাতে মহাসঙ্গমের পবিত্র জলের স্পর্শ পান।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ইউপি জেলের মন্ত্রী দারা সিং চৌহানের অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে এই অনুষ্ঠান সমস্ত সংশোধনাগারে হবে। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি হবে সমস্ত জেলে। ডিরেক্টর জেনারেল অফ প্রিজন পিভি রামাশাস্ত্রীর তত্ত্বাবধানে এই অনুষ্ঠান হবে।
সূত্রের খবর, সঙ্গমের গঙ্গাজল ৭৫টি জেলে পৌঁছে দেওয়া হবে। সাতটি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারেও পাঠানো হবে এই পবিত্র জল। এরপর সেগুলি সেখানকার জলের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হবে। এরপর একটি ছোট ট্যাঙ্কে তা রাখা হবে।
এরপর জেলবন্দিরা প্রার্থনার পরে এই পবিত্র জলে স্নান করবেন। আধ্য়াত্মিক অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ করতে পারেন তাঁরা। ২১শে ফেব্রুয়ারি লখনউ জেলে এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ও জেল আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন এই অনুষ্ঠানে।
গোরক্ষপুর জেলে জেলার একে খুশওয়া নিশ্চিত করছেন সংশোধনাগারের রক্ষী অরুণ মৌর্যকে প্রয়াগরাজে পাঠানো হয়েছে পবিত্র জল সংগ্রহের জন্য। নৈনি সেন্ট্রাল জেল ও প্রয়াগরাজ ডিস্ট্রিক্ট জেল একই ধরনের ব্যবস্থা করছে। এদিকে জেল বন্দিরাও এই দিনটার জন্য় কার্যত অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বলে খবর।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি উন্নাও জেল কর্তৃপক্ষ এই ধরনের কর্মসূচি পালন করেছে বলেই খবর। তারা আগেভাগেই এই সুযোগ পেয়েছিলেন। জেল সুপার পঙ্কজ কুমার সিং জানিয়েছেন, ২১শে ফেব্রুয়ারি বন্দিরা দ্বিতীয়বার একটা সুযোগ পাবেন। সূত্রের খবর, ২৬শে ফেব্রুয়ারি মহাকুম্ভ শেষ হচ্ছে।
এদিকে মহাকুম্ভ প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন,' এই অনুষ্ঠানটি কোনও বিশেষ দল বা সংগঠনের আয়োজন নয়... এই অনুষ্ঠান সমাজের, সরকার তার দায়িত্ব পালনের সেবক হিসেবে আছে... এটা আমাদের সৌভাগ্য যে আমাদের সরকার এই শতাব্দীর মহাকুম্ভের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছি... দেশ ও বিশ্ব এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছে এবং সকল মিথ্যা প্রচার উপেক্ষা করে সাফল্যের নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে।'