কার্যত জ্বলছে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা। একেবারে মৃত্যু মিছিল শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্য়ম প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, সংঘর্ষে সব মিলিয়ে ৯৩জনের মৃত্যু হয়েছে। অসহযোগ কর্মসূচি পালন করতে নেমেছিলেন আন্দোলনকারীরা। আর সেখানেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতি। ৯৩জনের মধ্যে অন্তত ১৪জন পুলিশও রয়েছেন।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে,সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুর থানার ১৩জন পুলিশের মৃত্যু হয়েছে ভয়াবহ হামলায়। কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার এক পুলিশ সদস্যও এই হামলায় নিহত হয়েছেন বলে খবর।
একেবারে একদফা দাবিতে শুরু হয়েছে আন্দোলন। একটাই দাবি শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। ঢাকা সহ সেই দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে হিংসা। থানার উপরেও হামলা চালানো হচ্ছে বলে খবর।
পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক( অপারেশনস অ্যান্ড ক্রাইম) বিজয় বসাক প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, সন্ধ্যা সাতটার দিকে সেনা বাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলের দিকে গিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্যরাও তাদের সঙ্গে রয়েছেন।
কীভাবে এই হামলা হল?
গোটা ঘটনা সম্পর্কে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মহম্মদ হান্নান মিঁয়া প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, প্রথমে হাজারখানেক মানুষ দল বেঁধে থানার দিকে আসে। সেখানে তারা কিছুক্ষণ অবস্থান করে চলে যায়। এরপর কয়েকশ লোকজন এসে হামলা চালাল। আগুন ধরিয়ে দিল। এখনও পর্যন্ত ১৩জন পুলিশের মৃত্যু হয়েছে। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সহকারি প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার ই আলম সরকার জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যারা এখন হিংসাত্মক ঘটনা চালাচ্ছে তাদের কেউ ছাত্র নন, তারা সন্ত্রাসী।
এদিকে দিনভর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় বাংলাদেশে। নরসিংদীতে৬জন, ফেনীতে ৮জন, লক্ষ্মীপুরে ৮জন, সিরাজগঞ্জে ১৩ পুলিশ সহ মোট ২২জন, কিশোরগঞ্জে ৪জন, রাজধানী ঢাকায় ৮জন, বগুড়ায় ৫জন, মুন্সিগঞ্জে ৩জন, মাগুড়ায় ৪জন, ভোলায় ৩জন, রংপুরে ৪জন, পাবনায় ৩জন, সিলেটে ৫জন, কুমিল্লায় পুলিশ সহ তিনজন, শেরপুরে ২জন, জয়পুরহাটে ১জন, হবিগঞ্জে ১জন, ঢাকার কেরানিগঞ্জে ১জন, সাভারে ১জন, বরিশালে ১জন মারা গিয়েছেন। সব মিলিয়ে সংঘর্ষে বাংলাদেশে রবিবার মারা গিয়েছেন ৯৩জন। পুলিশের উপর একের পর এক হামলা।
এদিকে মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচির দিন পরিবর্তন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র কমিটি। মঙ্গলবার সেই কর্মসূচি পালনের কথা ছিল। সোমবারই সেই কর্মসূচি পালন করা হবে। খবর প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে। ছাত্র আন্দোলনের সমণ্বয়ক আসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন, মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি মঙ্গলবারের পরিবর্তে সোমবারই হবে। আগামীকাল সারা দেশের ছাত্র জনতাকে ঢাকার দিকে যাত্রা করার আহ্বান জানাচ্ছি।