সারা বিশ্বের ও ভারতের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সবচেয়ে দুর্বল ৬০ পেরোনো নাগরিকরা। যারা মারা গিয়েছেন, তাদের অধিকাংশই সিনিয়র সিটিজেন। কিন্তু কার্যত মিরাক্যাল করলেন কেরালার দম্পতি। বয়স অনেক হলেও নিজেদের অদম্য ইচ্ছাবলে জয়ী হলেন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে।শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন দুজনেই।
কেরালার পাঠানামথিট্টার বাসিন্দা টমাস আব্রাহাম ও তাঁর স্ত্রী মারিয়াম্মা এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। টমাসের বয়স ৯৩, পাঁচ বছরের ছোটো তাঁর বউ মারিয়াম্মা।ভারতে সবচেয়ে বয়স্ক রোগী টমাস, যিনি করোনা যুদ্ধে জয় করলেন। দুজনেই করোনার বিরুদ্ধে দুরন্ত লড়াই করে সুস্থ হয়েছেন। তাঁদের ছেলে, ছেলের বউ ও নাতি গত মাসে ইতালি থেকে ফিরেছিলেন। সেখান থেকেই করোনার সংক্রমণ হয়ে এই বয়স্ক দম্পতির।
এই দম্পতির নাতি জানিয়েছেন যে অত্যন্ত পরিমিত জীবনযাত্রা করেছেন ওনারা। পেশায় চাষী ছিলেন টমাস। কোনও মদ-সিগারেটের নেশা ছিল না। জিমে না গিয়েও তাঁর সিক্স প্যাক বডি ছিল বলে নাতির দাবি। তবে এই দম্পতিকে বাঁচানোর ক্ষেত্রে কোট্টায়াম মেডিকাল কলেজের স্বাস্থ্যকর্মীদের ভূমিকাকে বিশেষ কৃতিত্ব দিয়েছেন নাতি রিজো। সাতজন চিকিত্সক, ২৫ জন নার্স সহ ৪০ জন স্বাস্থ্যকর্মী বিভিন্ন সময় চিকিত্সায় সাহায্য করেছেন।
টমাসের তিন ছেলে, সাত নাতি ও তাদের আবার ১৪জন ছেলে-মেয়ে। টমাসের দাদা ও তাঁর মেয়ে-জামাইয়েরও করোনা হয়েছিল। এখন সুস্থ অনেকে। অগস্টে ইতালি থেকে আসার কথা ছিল রিজোদের। দাদুর কথায় আগে আসে তাঁরা। বাকিদের করোনা হয়ে গেলেও এই মুহূর্তে ইতালিতে নেই সেটা ভেবে খুশি সে।
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী কেরালায় করোনা আক্রান্ত ২৮৬, মারা গিয়েছেন ২জন। দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দুইহাজার ছাড়িয়েছে, মৃত ৫৬।