মহাত্মা গান্ধীর ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন। এর আট দশকেরও বেশি সময় পর এবার কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় পা মেলালেন ৯৩ বছর বয়সি লীলাবাই চৈতালি। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের আকোলা জেলার বালাপুর তহসিলের ওয়াদেগাঁওতে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা পা মেলান স্বাধীনতা সংগ্রামী চৈতালি। তাঁর সেই ভিডিয়ো টুইটারে পোস্ট করেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা জয়রাম রমেশ। টুইট বার্তা জয়রাম রমেশ লেখেন, ‘তিনি (লীলাবাই চৈতালি) চান যেন সংবিধান রক্ষার দিকে মনোনিবেশ করা হয় এই যাত্রায়।’
এদিকে একটি ভিডিয়ো বার্তায় চৈতালি বলেন, ‘১৯৪২ সালের ৯ অগস্ট। তখন আমার বয়স মাত্র বারো বছর। মহাত্মা গান্ধী 'ডু অর ডাই' স্লোগান দিয়েছিলেন... আমি এবং আমার দুই বন্ধু একটি কলেজের কাছে (ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে) সেই স্লোগান দিতে গিয়ে ধরা পড়েছিলাম। আমরা মাত্র ১২ বছর বয়সি ছিলাম, তাই সেই সন্ধ্যায় আমাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমার বাবা ও ভাই সাড়ে তিন বছর জেলে ছিলেন। আজকে যেভাবে স্বাধীনতার কথা বলা হচ্ছে, সেভাবে দেশ তা পায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সমাজ ও সকল ধর্মের সব স্তরের মানুষ স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই লোকেরা (ভারত জোড় যাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা) সংবিধান বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।’ প্রসঙ্গত, গত ৭ নভেম্বর মহারাষ্ট্রে প্রবেশ করে ভারত জোড়ো যাত্রা। ১৪ দিন মহারাষ্ট্রে থাকার কথা ভারত জোড়ো যাত্রার। মহারাষ্ট্রে মোট ৬টি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ১৫টি বিধানসভা কেন্দ্র দিয়ে যাবে এই যাত্রা। মহারাষ্ট্রে মোট ৩৮২ তিমি পথ পাড়ি দেবেন রাহুল। মহারাষ্ট্রের আগে তামিলনাড়ু, কেরল, কর্ণাটক, তেলাঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ দিয়ে গিয়েছে এই ভারত জোড়ো যাত্রা। গত ৭ সেপ্টেম্বর কণ্যাকুমারী থেকে চালু হওয়া এই যাত্রা গিয়ে শেষ হবে কাশ্মীরে। আগামী বছর এই যাত্রা পূর্ণ হবে। মোট ৩৫৭০ কিমি পথ পাড়ি দেওয়ার কথা রাহুল গান্ধীর।