১৯৭৫ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করা এবং তাঁর স্বামীর ব্যবসায় লুঠপাট চালিয়ে অর্থ আত্মস্যাতের নালিশ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ২৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করলেন ৯৪ বছর বয়েসি এক বিধবা।
গত চার দশক ধরে চূড়ান্ত অর্থকষ্টে সপরিবারে ভোগার কারণে গত সেপ্টেম্বর মাসে শীর্ষ আদালতের কাছে সুবিচার চেয়ে আবেদন করেছেন বীরা সারিন নামে ওই বৃদ্ধা। মামলায় একটি পক্ষ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে। তবে এখনও এই মামলার শুনানি শুরু হয়নি।
জানা গিয়েছে, ১৯৫৭ সালে জহরত ও শিল্পকলা ব্যবসায়ী এইচ কে সারিনের সঙ্গে বিয়ে হয় বীরার। তাঁর স্বামীর দিল্লির করোল বাগ ও কনট প্লেসে চালু ব্যবসা ছিল।
১৯৭৫ সালের জুন মাসে ভারতে জরুরি অবস্থা জারি হলে শুল্ক আইন ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে সারিনের দোকানে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সেই সময় প্রচুর পরিমাণে দামি সামগ্রী, গয়না ও মূল্যবান শিল্পকীর্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেই সঙ্গে এইচ কে সারিনকে বিদেশি মুদ্রা ও পাচার আইনে আটক করা হয়।
ছাড়া পাওয়ার পরেও তাঁর বাড়ি ও দোকানে সরকারি নির্দেশে হানা লেগেই থাকে, যার জেরে বাধ্য হয়ে সমস্থ স্থাবর সম্পত্তি ফেলে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন সারিন। বীরা সারিন অভিযোগ করেছেন, এখনও তাঁর স্বামীর অধিকাংশ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত অবস্থায় রয়েছে।
আবেদনপত্রে তিনি বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের থেকে ২৫ কোটি টাকা দাবি করেছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৭ সালে আবেদনকারীর স্বামীর বিরুদ্ধে থাকা গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করে নেয় সরকার। দিল্লি হাই কোর্ট ২০১৪ সালে রায় দেয়, ওই গ্রেফতারি পরোয়ানা অবৈধ।