পশ্চিমবঙ্গের জেলে বন্দি থাকা ১২ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে আগেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এবার বাংলাদেশের জেলে বন্দি ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী মুক্তি পেতে চলেছেন। সম্প্রতি, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ৯৫ জন মৎস্যজীবীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। ঢাকার এমন সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই আশায় বুক বেঁধেছেন ৯৫ জন মৎস্যজীবীর পরিবার। তারা এখন অনেকটাই দুশ্চিন্তা মুক্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: জলসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ, ১৬ ভারতীয় মৎসজীবীকে গ্রেফতার করল বাংলাদেশ
জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব লুৎফুন নাহার ভারতীয় মৎস্যজীবীদের একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। সেখানে ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীর বিরুদ্ধে সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ অনুযায়ী যে মামলা করা হয়েছিল তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। একইসঙ্গে, তাদের ৬টি ট্রলার ফিরিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় মৎস্যজীবীদের গত আড়াই মাসের মধ্যে আটক করা হয়েছিল। বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে পড়ায় বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী কাকদ্বীপের ৬টি ট্রলার আটক করে। পরে ট্রলারগুলিতে থাকা ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, জলসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে যে ৯৫ জন মৎসজীবী বাংলাদেশের জেলে বন্দি রয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী ৭৯ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে প্রথমে গ্রেফতার করেছিল। তারা সকলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগ, আন্তর্জাতিক জলসীমা পেরিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করার অভিযোগে গত অক্টোবর মাসে প্রথমে ৩১ জন মৎসজীবী। তারও কিছুদিন পরে ৪৮ জন মৎসজীবীকে গ্রেফতার করেছিল বাংলাদেশ উপকূলরক্ষী বাহিনী । পরে নভেম্বরে গ্রেফতার করা হয় ১৬ জনকে।
এই খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য কেন্দ্রকে চিঠি পাঠান। তাঁদের ভারতে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তৎপর হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরাকে ফোন করে ওই মৎস্যজীবীদের পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেওয়া হয়। তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের জেলে থাকা বাংলাদেশিদের ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। তারপরেই ১২ জন মৎসজীবীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি ভারতে আটকে থাকা ৯০ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকেও ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বরাষ্ট্র দফতর।