পথ কুকুরের 'হামলা'য় প্রাণ গেল ১৪ মাসের এক শিশুর। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের এনটিআর জেলায়।
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে উদ্ধৃত করে এএনআই-এর তরফে দাবি করা হয়েছে, ১৪ মাসের ওই ছোট্ট ছেলেটিকে দল বেঁধে আক্রমণ করে কয়েকটি কুকুর। তাতেই প্রাণ যায় তার।
স্থানীয় এবং পুলিশ প্রশাসন সূত্রে দাবি করা হয়েছে, নিহত শিশুটি পেনুগানচিপ্রোলু এলাকার অন্তর্গত মডেল কলোনির বাসিন্দা একটি পরিবারের সদস্য ছিল। ঘটনার সময় সে তার বাড়ির বাইরেই খেলছিল।
অভিযোগ, সেই সময়েই বাচ্চাটির উপর হামলা চালায় একদল পথ কুকুর। কুকুরের দলের কামড় ও আঁচড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় তার ছোট্ট শরীর।
এই ঘটনার পর দ্রুত ছেলেটিকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী নন্দীগামা এলাকার একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, অনেক চেষ্টা করেও চিকিৎসকরা তাকে বাঁচাতে পারেননি।
সূত্রের দাবি, আঘাত গুরুতর হওয়াতেই চিকিৎসকদের পক্ষে শিশুটিকে রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
এমন একটি ঘটনায় হতবাক এবং শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছেন নিহত শিশুটির পরিবারের সদস্যরা। একই অবস্থা তাঁদের প্রতিবেশীদের। তাঁরা এই অকাল ও নৃশংস মৃত্যুর সুবিচার চেয়ে সরব হয়েছেন।
ঘটনার পর শিশুটির পরিবার সদস্যরা ও ওই এলাকার বাসিন্দারা একজোট হয়ে স্থানীয় ওল্ড সিনেমা হল এলাকায় একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন।
প্রতিবাদীদের বক্তব্য, আগামী দিনেও যে এমন ঘটনা ঘটবে না, তার নিশ্চয়তা কী? তাই, এর একটি স্থায়ী প্রতিকারের দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা।
শিশুটির বাবার নাম গোপাল রাও। তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি এই এলাকায় পথ কুকুরের সংখ্যা প্রচুর বেড়ে গিয়েছে। ফলে যেসব পরিবারে ছোট ছেলে-মেয়ে রয়েছে, তারা সর্বদাই আতঙ্কে থাকে। অনেকেই বাচ্চাদের বাড়ির বাইরে খেলা করতে দিতে ভয় পান।
অন্যদিকে, পিটিআই সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশেও পথ কুকুরের হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেখানকার বেহদা সদত গ্রামে একটি পথ কুকুরের কামড়ে জখম হয়েছেন দুই পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি। সেই ঘটনায় ছয় শিশুও আহত হয়েছে।
সূত্রের দাবি, আক্রান্ত আটজনকেই জলাতঙ্কের টিকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে পথ কুকুরের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে হামলার শিকার হয়েছে ৮ বছরের এক বালিকাকে।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে পথ কুকুরের হামলা ও সেই সংক্রান্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেছিল দিল্লি হাইকোর্ট।
আদালতের বক্তব্য ছিল, যেভাবে রাজধানী শহরে পথ কুকুরের হামলার মুখে পড়ে বহু মানুষ আহত হচ্ছেন, এমনকী তাঁদের প্রাণ সংশয় পর্যন্ত দেখা দিচ্ছে, তা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়।