কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অফিসে-অফিসে একটাই আলোচনা, শুনেছেন তো আয়করে বিরাট ছাড় ঘোষণা করেছে। স্বস্তিতে মধ্য়বিত্ত,উচ্চমধ্য়বিত্ত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লিখেছেন, মধ্যবিত্তরা বরাবরই প্রধানমন্ত্রী মোদীর হৃদয়ে থাকেন। তবে বাজেট ঘোষণা হওয়ার পরেই তীব্র কটাক্ষ করছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
রাহুল গান্ধী লিখেছেন, বুলেটের ক্ষতগুলোতে একটা ব্যান্ড এইড লাগানো হল। বিশ্বজুড়ে অনিশ্চয়তার মধ্য়ে আমাদের অর্থনৈতিক সংকটকে দূর করার জন্য় পুরো নজিরটাকেই বদল করা উচিত ছিল। কিন্তু এই সরকার ভাবনার দিক থেকেও দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী।
তবে শুধু রাহুল গান্ধীই নয়, কংগ্রেসের একাধিক নেতা ইতিমধ্য়েই এই কেন্দ্রীয় বাজেটকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন। একদিকে যখন আয়করে বিরাট ছাড় নিয়ে উচ্ছসিত সাধারণ মানুষ তখন কার্যত কোথায় কোন ত্রুটি রয়েছে, কোথায় আরও ভালো করতে হত তা খুঁজে বের করছেন বিরোধী নেতারা। তবে বিগত দিনে যেভাবে দল বেঁধে নেমে পড়তেন তেমন কিছু দেখা যাচ্ছে না। তার একটা বড় কারণ হল এবার আয়করে যেভাবে ছাড় দেওয়া হয়েছে তাতে কিছু বলার আগে অন্তত দুবার ভাবছেন বিরোধী নেতারা।
এদিকে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশও এই বাজেটকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী চারটি ইঞ্জিনের কথা জানিয়েছেন। কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, বিনিয়োগ ও রফতানির কথা বলেছেন। তবে বাজেটের একাধিক ইঞ্জিন বেলাইন হয়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে রাহুল বলছেন বুলেটের ক্ষততে ব্যান্ড এইড লাগানো হল।
তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এবার বাজেটের আগে থেকেই বিরোধী নেতারাও দাবি করছিলেন, অন্তত ১০ লাখ পর্যন্ত আয়করে ছাড় দেওয়া হোক। আর এবার বাজেট ঘোষণা হওয়ার পরে দেখা গেল আয়কর ছাড়ে এবার যে ঘোষণা করা হয়েছে তা প্রত্যাশার বাইরে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অবশ্য জানিয়েছেন, মানুষের স্বপ্নপূরণের বাজেট।
অন্যদিকে ডিএমকে নেতা দয়ানিধি মারান অবশ্য় জানিয়েছেন, ১২ লাখের ক্ষেত্রে কোনও কর থাকছে না। তারপর তিনিই আবার বলছেন ৮-১২ লাখের মধ্য়ে ১০ শতাংশের একটা স্ল্যাব থাকছে। সেকারণে এটা খুব বিভ্রান্তিমূলক।…তিনি ভোটারদের প্রতিশ্রুতি দিতে চেয়েছেন যে ১২ লাখ পর্যন্ত কর ছাড় থাকছে। কিন্তু সেটা একেবারেই সরল ও সোজাসুজি নয়। তাদের টিডিএস ক্লেইম করতে হবে আর সব কিছু রয়েছে…সেকারণে মধ্য়বিত্তের কাছে ফের আঘাত। ফের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর মাধ্যমে প্রতারিত হলেন ম্ধ্যবিত্তরা। দেশের বাকি জায়গাগুলিতে পরিকাঠামো বৃদ্ধির কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। এটা কেবলমাত্র বিহারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কারণ এই বছরেই বিহারে ভোট রয়েছে। তামিলনাড়ু বা দক্ষিণভারতের কোনও রাজ্যের জন্য় একটা শব্দও নেই।