নৈসর্গিক দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করতে কার না ইচ্ছে হয়। কিন্তু, সেই নৈসর্গিক দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করতে গিয়ে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল। পা পিছলে খাদে পড়ে মৃত্যু হল এক বাঙালি পর্যটকের। ঘটনাটি ঘটেছে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার ছবি তুলতে গিয়ে তিনি একটি খাদে পড়ে যান। তার ফলে মৃত হয় ওই পর্যটকের। শুক্রবার তার কফিনবন্দি দেহ বাড়ি পাঠানো হয়। ওই বাঙালি পর্যটকের নাম দেবব্রত ঘোষ, বয়স ৬১ বছর। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে।
আরও পড়ুন: মাইকিং চলাকালীন সমুদ্রে নেমে মর্মান্তিক পরিণতি, মন্দারমণিতে মৃত কলকাতাবাসী সহ ২
জানা গিয়েছে, পহেলগাঁওয়ে একটি নদীতে পড়ে যান তিনি। গভীর রাতে ছবি তোলার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ওই পর্যটককে দ্রুত উদ্ধার করে পহেলগাঁওয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে (পিএইচসি) পাঠানো হয়। যেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার পরিবারকে মৃত্যুর কথা জানানো হয়। তবে এর পিছনে অন্য রহস্য রয়েছে কি না তা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, দেবব্রত হুগলির বাসিন্দা। তিনি পেশায় বীজ ব্যবসায়ী। শিবাইচণ্ডী স্টেশনের কাছেই তার শস্য বীজ বিক্রির দোকান রয়েছে। এই বীজ কোম্পানির তরফ থেকেই তিনি কাশ্মীর ভ্রমণের সুযোগ পেয়েছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য বন্ধুরা।
সেইমতো কয়েকদিন আগে তিনি বন্ধুদের সঙ্গে কাশ্মীরে রওনা দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার পহেলগাঁও এ পৌঁছে মনোরম দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করছিলেন তিনি। সেখানে একটি ঝর্ণা দেখে তার ছবি তুলতে গিয়েছিলেন তিনি। তখন তিনি পা পিছলে গভীর খাদে পড়ে যান। এরফলে মাথায় পাথরের সঙ্গে গুরুতর চোট লাগে। তখন রক্তাক্ত অবস্থায় তার সঙ্গীরা তাঁকে উদ্ধার করে পহেলগাঁওয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গিয়েছে, দেবব্রত ঘোষ এলাকায় পরিচিত ছিলেন। পঞ্চায়েত প্রধানের পাশাপাশি স্থানীয় বিধায়কের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক রয়েছে। তিনি মাকালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। বারোয়ারীতলায় থাকতেন তিনি। পঞ্চায়েত প্রধান জানান, দেবব্রত ঘোষের পরিবারে রয়েছেন তার স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং বৃদ্ধ বাবা মা। যার মধ্যে এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, তার স্ত্রীর সম্প্রতি অসুস্থ হয়েছিলেন। একটি নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন। কয়েকদিন আগে ছাড়া পেয়েছেন। জানা গিয়েছে, বিমানে করে দমদম এয়ারপোর্টে তার কফিনবন্দী দেহ নিয়ে আসা হয়। এরপর দেহ তুলে দেওয়া হয় তার পরিবারকে। এরজন্য প্রশাসনের তরফে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে জানান পঞ্চায়েত প্রধান। তার মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমেছে।