বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে এক মধ্যবয়সী ব্যবসায়ী ও তাঁর স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চরম চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস। ভোপাল থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সেহোর। সেখানেই ব্যবসায়ী মনোজ পারমার ও তাঁর স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে।
তথ্য বলছে, কিছুদিন আগেই ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হয়েছিল ইডির তল্লাশি। পরমারদের সেহোর ও ইন্দোরের সম্পত্তি ঘিরে এই তল্লাশি চলে। সদ্য ৫ ডিসেম্বর পরমারদের মালিকানাধীন বহু জায়গায় এই তল্লাশি চলে। পরমাররা ছাড়াও বেশ কিছু গয়নার ব্যবসায়ী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টের বাড়িতেও এই তল্লাশি চলে। তল্লাশির পর, এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ৬ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগে মনোজ পরমারকে গ্রেফতার করে ইডি। তাদের ৩.৫ লাখের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও ‘ফ্রিজ’ করে ইডি। ইডির তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু নথিও। এদিকে, মনোজ পারমার ও তাঁর স্ত্রীর মৃত্যুতে স্বভাবতই শোকাহত গোটা পরিবার। পরিবারের তরফে তাঁর ছোট ভাই কৈলাস পরমার,' উনি (মনোজ পরমার) মানসিক চাপে ছিলেন ইডির তল্লাশি নিয়ে। তিনি জীবন শেষ করে দিয়েছেন ইডির হেনস্থার জেরে।'
এদিকে, পরমার দম্পতির মৃত্যু ঘিরে সরব হয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের তরফে দিগ্বিজয় সিং বলেন,' মনোজ পরমার ইডির দ্বারা হেনস্থার শিকার হয়েছেন। বিশেষত, তাঁর সন্তানরা রাহুল গান্ধীকে ভারত জোড়ো যাত্রার সময় পিগি ব্যাঙ্ক উপহার দিয়েছিল বলে। ওঁদের বাড়িতে তল্লাশি করে ইডির অ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর সঞ্জীত কুমার সাহু।' রাজ্যসভার সাংসদ দিগ্বিজয় সিং জানান, তিনি মনোজের জন্য এক আইনজীবীরও বন্দোবস্ত করেছিলেন। তবে ইডিকে নিয়ে মনোজ খুবই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন বলে দাবি করেন দিগ্বিজয়। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দিগ্বিজয় সিং লেখেন,' মনোজের জন্য আইনজীবীরও ব্যবস্থাও করেছিলাম। কিন্তু, মনোজ এতটাই ভয় পেয়েছিলেন যে আজ সকালে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আমি ইডি পরিচালকের কাছে এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।' সিহোর জেলা পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং আরও তদন্ত চলছে।