প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে নিয়ে আপত্তিজনক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অতিথি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত অধ্যাপককে শোকজ করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতের জাতীয় বিষয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট নয়, তিন দেশের পড়ুয়াদের নির্দেশ AMU-র
জানা গিয়েছে, ওই অধ্যাপকের নাম অরিমন্দন সিং পাল। তিনি সংস্কৃতি বিভাগের অতিথি অধ্যাপক। গত ১১ জানুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তিনি। সেই সময় অতিথি অধ্যাপক এই আপত্তিকর মন্তব্য করেন। বিষয়টি স্থানীয় কংগ্রেস যুব নেতা রাজা ভাইয়া সামনে এনেছিলেন। তিনি সিভিল লাইন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের কাছে তিনি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংস্কৃত বিভাগের অতিথি অধ্যাপক অরিমন্দন সিং পালকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে। শুক্রবার একটি প্রেস বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র অধ্যাপক বিভা শর্মা জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তের পর অধ্যাপককে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কমিটি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে।
বাজেটের লাইভ আপডেট: সংসদে পৌঁছলেন নির্মলা, তাঁর শাড়িতে লুকিয়ে কেন্দ্রীয় বাজেটের ‘ইঙ্গিত’?
মুখপাত্র জানান, ছাত্রদের একটি দল যারা এই সংঘর্ষের সময় উপস্থিত ছিলেন তারা অধ্যাপককে জওহরলাল নেহেরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তাদের অনুমান ছিল, অধ্যাপক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তার জন্য ডাক্তারি পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন। যদিও অধ্যাপক তখনই ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান। ফলে তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষা করা যায়নি। সার্কেল অফিসার অভয় পান্ডে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষা ব্যবহারের অভিযোগে অরিমন্দনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরে। ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী এবং যোগীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে গত বছরের ডিসেম্বরে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অভিযুক্তের নাম হীরামণি যাদব। লালগঞ্জ থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। লালগঞ্জের কাশিনাথ গ্রামের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি পরে পুলিশের কাছে ক্ষমা চান এবং ভবিষ্যতে আর কখনও এই কাজ করবেন না বলে অঙ্গীকার করেন।