বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের কাছে এবার এল সেদেশের জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ। সেই সুপারিশ সম্পর্ক বুধবারই এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে ঢাকার অতিথিভবন যমুনার সামনে বক্তব্য পেশ করেন মহম্মদ ইউনুসের উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। কমিশনের সুপারিশে ঠিক কী রয়েছে?
আজ দিল্লি ভোটের দিনেই বাংলাদেশের ঢাকায় সরকারের কাছে এল দিল্লির আদলে ক্যাপিটল সিটি গভর্নমেন্ট তৈরির সুপারিশ। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এই সুপারিশ করেছে বলে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব। বাংলাদেশের ওই কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, চারটি বিভাগকে চারটি প্রদেশ করার কথা। এ ছাড়া কমিশন মন্ত্রক ও অধিদফতর কমানোর কথা বলেছে। সুপারিশে ২৫টি মন্ত্রক ও ৪৪টি অধিদপ্তর করার প্রস্তাব রয়েছে। এছাড়াও কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার জনসংখ্যা ও পরিষেবার ব্যাপ্তির কথা বিবেচনা করে, দিল্লির মতো ঢাকাকেও ফেডারেল সরকার নিয়ন্ত্রিত একটি ‘ক্যাপিটাল সিটি গর্ভনমেন্ট’ তৈরি করা হোক। তেমনই সুপারিশ এসেছে। সেখানেও আলাদা আইনসভা ও স্থানীয় সরকার থাকবে। ঠিক যেমনটা দিল্লিতে রয়েছে। সেখানে দেশের কেন্দ্রীয় সরকারের মূল দফতরগুলি যেমন রয়েছে, তেমনই দিল্লিতে বিধানসভাও রয়েছে। আর দিল্লিতে রয়েছে আলাদা স্থানীয় সরকারও। দিল্লির এই কাঠামোকে নজরে রেখেই এবার ঢাকাকেও সেভাবেই গড়ে তোলার সুপারিশ এসেছে।
শেখ হাসিনার গদিচ্যুতির পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক ঘিরে একাধিক অধ্যায় উঠে এসেছে। গত ৫ অগস্ট ঢাকা ছেড়ে আকাশপথে রাতারাতি ভারতে এসে আশ্রয় নেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমন এক পরিস্থিতিতে ঢাকা, দিল্লি সম্পর্ক নিয়ে বহু কূটনৈতিক অধ্যায় পার হয়েছে। বাংলাদেশের বহু মহল থেকে ভারত বিরোধী নানান পোস্ট ও নেতাদের বার্তাও উঠে এসেছে। তবে ঢাকাকে নতুন করে গড়তেই সেই দিল্লির আদলেই 'ক্যাপিটল সিটি গভর্নমেন্ট' গড়ে তোলার সুপারিশ এল ইউনুস সরকারের কাছে। এবার বাংলাদেশের সরকারের কাছে সুপারিশ গিয়েছে, যাতে বাংলাদেশেও দিল্লির মতো করে একটি 'ক্যাপিটল সিটি গভর্নমেন্ট' বা রাজধানী মহানগর সরকার গঠন হয়। অন্যান্য প্রদেশের মতো সেখানেও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকার থাকবে বলে সুপারিশে বলা হয়েছে। ঢাকা সহ টঙ্গী, কেরানীগঞ্জ, সাভার ও নারায়ণগঞ্জ নিয়ে ক্যাপিটাল সিটি গভর্নমেন্টের আয়তন নির্ধারণ করা যেতে পারে বলে সুপারিশে উল্লেখ রয়েছে।